|
|
|
|
অভিন্ন ন্যূনতম মজুরির পথে কেন্দ্র |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দেশ জুড়ে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরিতে সমতা আনার লক্ষ্যে আইন সংশোধনে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এত দিন, ওই মজুরির হার কেন্দ্র ১১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও, ১৫টির মতো রাজ্য তা মানত না। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই মজুরি দেওয়া হয় ওই অঙ্কের থেকে কম। এ নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার পথ খোলা থাকলেও, ন্যূনতম মজুরি মানতে রাজ্যগুলিকে বাধ্য করার এক্তিয়ারও ছিল না কেন্দ্রের। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই আইন সংশোধনে সায় দিয়ে রাজ্যগুলিকে একই ন্যূনতম মজুরি দিতে বাধ্য করার পথে এক ধাপ এগোলো তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহণ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট ও কেবিন ক্রু-দের বেতন কাঠামো ঢেলে সাজতেও সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। ধর্মাধিকারী কমিটির সুপারিশ মেনে এই শিল্পের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এখন থেকে তাঁদের বেতন দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে তারা। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া বছরে প্রায় ৩২০ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই কর্মীদের মূল বেতন কমতে পারে প্রায় ১০ থেকে ২০%। কিন্তু তেমনই বাড়বে তাঁদের উৎসাহ ভাতার পরিমাণ। উল্লেখ্য, প্রতি বছর বেতন দিতে গড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার খরচ হয় প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কর্মীদের দিতে হয় ১,৭৫০ কোটি।
৯টি রুগ্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের বেতন দিতে বাজেট বরাদ্দের বাইরে ১২২.৬৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবেও অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে এইচএমটি, হিন্দুস্তান কেবল্স, এইচএমটি (ওয়াচ), তুঙ্গভদ্রা স্টিল প্রোডাক্টস, এইচএমটি বেয়ারিং ইত্যাদি। ২০১২-র ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মীদের বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, পেনশন, বিমা ও বোনাস দেওয়ার জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। |
|
|
|
|
|