তিন বোনের ধর্ষণ-খুনে উদ্বিগ্ন মনমোহন, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র
মাস দুয়েক আগেই দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। নাগরিক আন্দোলনের চাপে বদলাতে চলেছে আইনও। এ বার মহারাষ্ট্রে তিন বোনের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি নজর কাড়ল কেন্দ্রের।
তদন্তে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন মেয়েদের মা। আজ প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহ ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে। ঘটনাটি সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এক মাসের মধ্যে সেই রিপোর্ট দাখিল করতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।
যৌন অপরাধীদের জন্য প্রস্তাবিত আইনে আরও বদলের দাবিতে
সামিল শাবানা আজমি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই
কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী তথা ভাণ্ডারার সাংসদ প্রফুল্ল পটেল দাবি জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের থেকে কম কোনও শাস্তি দেওয়া উচিত নয়।” সন্ধেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে নিজের উদ্বেগ জানান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারার ওই দিনমজুর পরিবারটির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি। দিল্লিতে নির্ভয়ার পরিবারকেও নিখরচায় একটি ফ্ল্যাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
মহারাষ্ট্রের ওরা ছিল তিন বোন। বয়স ছয়, নয় আর এগারো। ১৪ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিল তারা। মায়ের অভিযোগ, পুলিশ প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে তৎপরতাই দেখায়নি। না হলে হয়তো প্রাণে বাঁচানো যেত ওদের। দু’দিন পরে যখন গভীর কুয়ো থেকে তিন বোনের দেহ উদ্ধার করা হয়, তখনও বিষয়টিকে ‘দুর্ঘটনা’ বলেই পুলিশ দায় এড়াতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে তদন্ত শুরু করে তারা। এখন কিন্তু ময়না-তদন্তে মিলেছে ধর্ষণের প্রমাণ। সুতরাং প্রাথমিক পর্বে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ আরও জোরদার হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত ডিজি আহমদ জাভেদ আজ ভাণ্ডারার এসপি আরতি সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। গোটা ঘটনাটা নিছক দুর্ঘটনা বলে ভেবে নিয়েছিল কেন পুলিশ? আরতির বক্তব্য, “ওদের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। আমরা তাই কিছু সন্দেহ করিনি। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছিলাম।” পুলিশের তরফে আরও দাবি, গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। কিন্তু তাতে আতঙ্ক কমছে না।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, “ভয়ে আমরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছি।” মায়ের অভিযোগ, শাশুড়ি সত্যশীলাই এই পুরো ঘটনার মূল চক্রী। চার বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অত্যাচার শুরু করেন সত্যশীলা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.