সুচপুর-কাণ্ডে ধরা পড়ল এক ফেরার
সুচপুর গণহত্যা মামলায় পলাতক চার অভিযুক্তের মধ্যে আরও এক জন ধরা পড়েছে বুধবার। অভিযুক্ত হাবু ওরফে আবু খানকে ওই দিন বিকেলে নানুরের সেহালা গ্রামে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে নানুরের সুচপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুর খুন হয়েছেন। ওই খুনে ৮১ জন সিপিএম নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় ২০১০ সালে নভেম্বর মাসে ৪৪ জন সিপিএম নেতাকর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম সিপিএমের প্রভাবশালী নেতা তথা নানুর জোনাল কমিটির সদস্য নিত্যনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। ওই গণহত্যায় পলাতক চার অভিযুক্তের মধ্যে রেজাউল কেরিম ওরফে রেজন খাঁ ২০১১ সালের মার্চ মাসে ধরা পড়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার আবু খানকে ধরে পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার বোলপুর এসিএজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল জানান, এসিজেএম পীযূষ ঘোষ ধৃতকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৫ মার্চ ধৃতকে সিউড়ি আদালতে হাজির করানোর জন্য বোলপুর সংশোধনাগারের সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পলাতক বাকি দু’জনকেও ধরার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষের অভিযোগ, “বাম আমলে পলাতক ওই সব অভিযুক্তরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ ধরেনি। আসলে সিপিএমের প্রভাবে ওরা এত দিন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেন, “কোনও অভিযুক্তকে আড়াল করার জন্য রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো আমাদের দলের সংস্কৃতি নয়। আইন আইনের পথে চলবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.