ধর্মঘটে কেন বন্ধ, স্কুলে পড়ল তালা |
বনধের দিন স্কুল খোলেনি। তাই বৃহস্পতিবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন কালনা ২ ব্লকের বিরুহা গ্রামের বাসিন্দারা। প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ‘ভুল’ স্বীকার করার পরে খোলা হয় তালা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার স্কুল বন্ধ থাকবে। সেই মতো সে দিন স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিন শেখ-সহ ১৪ জন শিক্ষকও। কিন্তু সে দিন আশপাশের অন্য স্কুলগুলি খোলা থাকায় দোটানায় পড়ে যায় ওই স্কুলের পড়ুয়ারা। অনেকেই স্কুলে যায়। কিন্তু তালা বন্ধ দেখে ফিরে আসে তারা। এর পরে এ দিন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা স্কুলভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষকেরা স্কুলে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তার কিছু ক্ষণ পরে সেখানে যান কালনা দক্ষিণ চক্রের স্কুল পরিদর্শক অরিজিৎ সিংহ। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় বিরুহা হাইস্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। সরকারি দুই আধিকারিকের সামনে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল স্বীকার করলে ১১টা ৪০ নাগাদ তালা খোলা হয়। কালনার সহকারী স্কুল পরিদর্শক বীথিকা ভট্টাচার্য বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা না মেনে ওঁরা ঠিক কাজ করেননি। এ ব্যাপারে জেলা স্কুল পরিদর্শককে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে।” মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরেই এলাকায় গোলমাল পাকানো, মহিলাদের কটূক্তি ইত্যাদির অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ধরা হয় হাসিবুর শেখ, আখতার শেখ, বসির শেখকে। পরে বৃহস্পতিবার শুভ দাস ও সুমন বসাক নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা কালনা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর এক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযোগ, এলাকায় অপরাধ বাড়ছে। মেয়েদের উদ্দেশে কটূক্তি করা হচ্ছে। সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের রাতে এ রকমই একটি ঘটনার প্রতিবাদ করে প্রহৃত হন কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ।
|