নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
সিপিএমের বনধ সমর্থনকারীদের বাধায় প্রথম দিন দোকান খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। দ্বিতীয় দিনেও দোকান খুলতে পারলেন না তাঁরা। কিন্তু এ বার বাধা দিল তৃণমূলের সদস্য সমর্থকেরা, এমনই অভিযোগ আসানসোল উত্তর থানার পুরনো স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানান, বুধবার দোকান না খোলায় এ দিন জোর করে তাঁদের দোকান খুলতে বাধা দেন তৃণমূলের সদস্য সমর্থকরা। ঘটনায় সামান্য উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। অবশ্য লিখিত কোনও অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। তৃণমূল অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানেনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল দোকানপাট বেশিরভাগই বন্ধ। দোকানের মালিকেরা জানান, বুধবার সিপিএমের কর্মী সদস্যরা নিষেধ করায় তাঁরা দোকান খোলেননি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে একজন চা বিক্রেতা দোকান খোলেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন তৃণমূলের সদস্য সমর্থক ওই চায়ের দোকানটি জোর করে বন্ধ করে দেন। এরপরে আরও কয়েকজন দোকানদারও দোকান খুলতে গিয়ে বাধা পান। অভিযোগ, তৃণমূলের সদস্য সমর্থকেরা সাফ জানান, বুধবার দোকান খোলেননি বলেই বৃহস্পতিবারও তাঁদের দোকান খুলতে দেওয়া হবে না। এরপরই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছড়ায়। আসানসোল উত্তর থানার ওসি বিকাশ দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কিন্তু দোকানদাররা শেষপর্যন্ত দোকান খোলেননি। দোকান মালিকদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা বরুণময় বিশ্বাসদের নেতৃত্বেই তৃণমূলের সদস্য সমর্থকেরা এই কান্ড ঘটান। তবে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বরুণময়বাবু বলেন, “এ সব মিথ্যা অভিযোগ। দোকান মালিকেরা ইচ্ছে করেই দোকান বন্ধ রেখে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।”
তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় জানান, এরকম একটি খবর তিনি পেয়েছেন। তবে বিস্তারিত জানেন না। খোঁজ নেবেন। |