টুকরো খবর |
চালকদের মার, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বনধে বাস চালাতে গিয়ে এক মিনিবাসের খালাসি ও চালককে মারধরের অভিযোগে আসানসোল দক্ষিণ থানায় বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা।
আসানসোল বরাকর ভায়া তিরাট রুটের মিনিবাসের খালাসি রমেশ শর্মা অভিযোগ করেন, বুধবার বরাকর থেকে আসানসোল আসার সময়ে তখনই বিএনআর মোড়ের কাছে সিপিএমের আসানসোল জোনাল সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা হেমন্ত সরকার, প্রদীপ মণ্ডল এবং সত্য চট্টোপাধ্যায়দের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ বাস আটকায়। রমেশবাবুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং তাঁর রুপোর চেন ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। গাড়ির চালক হংসনারায়ণ ঝা-ও প্রহৃত হন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া জানান, বুধবার সিপিএমের লোকজন যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ইচ্ছুক বাসকর্মীরা জোর করে বাস চালাতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানানো হলেও পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করেনি বলে তাঁর অভিযোগ। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথাও জানান। তবে পার্থ মুখোপাধ্যায়রা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
ডুলি আছড়ে জখম চার কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
ভূগর্ভে ডুলি আছড়ে জখম হলেন চার খনিকর্মী। এর জেরে ডুলি অপারেটরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে রানিগঞ্জের সাতগ্রাম এরিয়ার জেকে নগর প্রজেক্টের ঘটনা। আইএনটিইউসি নেতা বাবলু সিংহ জানান, ডুলি অপারেটর বাল্মীকি রাম তাদের সমর্থক। বুধবার তিনি দু’ঘণ্টা দেরীতে কর্মস্থলে আসেন। বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ে কাজে এলে আগের দিন দেরির জন্য আইএনটিটিইউসি নেতা চুনুলাল মিশ্র তাঁকে ধমক দেন। এর পরে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডুলি আছড়ে পড়ে। তারপরেই চুনুলাল তাঁকে মারধর শুরু করেন। বাবলুবাবর বক্তব্য, “সিটুর মতো একই ভাবে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে আইএনটিটিইউসি।” বাল্মীকিবাবু জানান, যান্ত্রিক ত্রুটিতে এর আগেও ডুলিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এ দিন তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই মারধর করা হয়েছে। তিনি নিমচা ফাঁড়ি ও খনি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন বিপত্তি। কর্তৃপক্ষই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। চুনুলালবাবুর বক্তব্য, “কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।” খনি কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
খনিতে বিক্ষোভ, আটক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
সিটু-সহ দশটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা শিল্প ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে উত্তেজনা ছড়াল অন্ডালের খাস কাজোড়া কোলিয়ারিতে। বৃহস্পতিবার পুলিশ শ’দুয়েক সিটু এবং এআইটিইউসি সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে ধরে। ৯০ জনকে কাজোড়া মোড়ে নামিয়ে দিলেও বাকি ১১০ জনকে থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। এই ১১০ জনকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে থানাচত্বরে আটকে রাখলেও পুলিশ তাঁদের জন্য কোনও খাবারের ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। খবর চাউর হতেই রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য তথা সিপিআই নেতা আরসি সিংহ, পাণ্ডবেশ্বরের সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়রা থানা চত্বরে পৌঁছন। তাঁদের সমর্থকেরা আটকদের খাবারের ব্যবস্থা করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত থানা ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, এ দিন সকাল দশটা নাগাদ ভূগর্ভে নামার ডুলিতে চেপে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বন্ধ সমর্থকেরা। কোলিয়ারির নিরাপত্তা অধিকর্তাদের কোনও কথা না শুনলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ জলকামান নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। বন্ধ সমর্থকেরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ লাঠি চলিয়েছে বলে সিটু নেতা মলয় বসুরায়ের অভিযোগ। তারপর তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
|
চালক-খালাসিকে মারধর, অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বনধের দিনে বাস চালাতে গিয়ে এক মিনিবাসের খালাসি এবং চালককে মারধরের অভিযোগে আসানসোল দক্ষিণ থানায় বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। দোষীদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান তাঁরা। আসানসোল বরাকর ভায়া তিরাট রুটের মিনিবাসের খালাসি রমেশ শর্মা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, বুধবার বাস নিয়ে বরাকর থেকে আসানসোল আসছিলেন তাঁরা। তখনই বিএনআর মোড়ের কাছে সিপিএমের আসানসোল জোনাল সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা হেমন্ত সরকার, প্রদীপ মণ্ডল এবং সত্য চট্টোপাধ্যায়দের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ বাস আটকায়। পার্থবাবুরা জোর করে রমেশবাবুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং তাঁর রুপোর চেন ও নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চালক হংসনারায়ণ ঝাও প্রহৃত হন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া জানান, বুধবার ধর্মঘটকে সফল করার জন্য সিপিএম রাস্তায় নেমে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে। ইচ্ছুক বাসকর্মীরা জোর করে বাস চালাতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানানো হলেও পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করেনি বলে তাঁর অভিযোগ। তবে পার্থ মুখোপাধ্যায়রা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল শিল্পাঞ্চল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর ও আসানসোল |
আগের দিন তবু নানা খনি, কারখানার গেটে বন্ধ সমর্থকদের পিকেটিং ছিল। বৃহস্পতিবার শিল্প ধর্মঘটে সেটুকুরও দেখা মিলল না আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। সরকারি ও বেসরকারি কারখানায় হাজিরা ও উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪টি এরিয়ার ১৯টি খনিতে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। হাজিরার সংখ্যা ৮৭ শতাংশেরও বেশি। এ দিন সকাল থেকে সোদপুর এরিয়ার নানা খনিতে ধমর্ঘটের সমর্থনে পিকেটিং হয়। কোথাও কোথাও কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, উৎপাদন ও পরিবহণ বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ছিল। ইস্কো এবং চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়নি। শ্রমিক-কর্মীরাও পুরোমাত্রায় হাজির ছিলেন। আসানসোলে সকালের দিকে বড় বাস না চললেও বিকেল থেকে কিছু রুটে তা চলে। দুর্গাপুরেও বড় বাস সংখ্যায় কম চলেছে। তবে মিনিবাস চলাচল করেছে।
|
কেবল নেই, উৎপাদন বন্ধ রইল খনিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকল খনিতে। দুষ্কৃতীরা জামুড়িয়ার সাতগ্রাম ইনক্লাইনের কেবল তার কেটে নেওয়াতেই এই বিপত্তি, বলে খনি সূত্রে খবর। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, বুধবার দুষ্কৃতীরা ৩০ ফুট কেবল কেটে নিয়ে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব হয়নি। তৃণমূল নেতা অলক দাসের অভিযোগ, “বন্ধ করতে না পারা মেনে নিতে পারেনি সিটু। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন যাতে খনি চালু করা না যায় তার জন্য ওদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের দিয়ে কেবল কেটে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা সিটু নেতা মনোজ দত্ত বলেন, “বুধবার বনধ ব্যর্থ করার জন্য শ’তিনেক খনি কর্মীর সঙ্গে বেশকিছু লোহাচোরকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের সমর্থকেরা খনি চত্বরে জড়ো হয়। রাতে তারাই কেবল কেটে নিয়ে চলে যায়। আমরা চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”
|
কোথায় কী |
দুর্গাপুর
সুপার ডিভিশন ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এমএএমসি মাঠ।
সকাল পৌনে দশটা। উদ্যোগ: দুর্গাপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা।
বারাবনি
ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। সামডি। দুপুর ১টা। |
|