নাবালিকা পরিচারিকা প্রহৃত, ফেরার দম্পতি
কোথাও শেড করে দোকান বসেছে। আবার কোথাও দোকানের মালপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ আবার ব্যবসায়িক সাইনবোর্ড বসিয়ে রেখেছেন। কোচবিহার শহর জুড়ে ফুটপাথ ও রাস্তা এভাবেই দখল হয়ে যাওয়ায় নিত্য ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। সাধারণ পথচারি থেকে বাসিন্দারা তার পরেও সমস্যা মেটাতে পুরসভা থেকে প্রশাসন কোন মহলের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। ফলে বাসিন্দাদের ক্ষোভ আরও বেড়ে গিয়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে জবর দখল হটাতে পুরসভা প্রশাসন অভিযান চালালেও তারপর থেকে নজরদারি চালানো হয়নি। ওই সুযোগেই কোচবিহারে রাস্তা ও ফুটপাথ দখলদারদের রমরমা বেড়ে গিয়েছে। শহরবাসীর অভিযোগ, কোচবিহারের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা সুনীতি রোড বিশ্বসিংহ রোড কেশব রোড সিলভার জুবিলি রোড জুড়ে ফুটপাথ দখলের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ নিত্য যানজট।

হাসপাতালে টুম্পা। ছবি: অমিত মোহান্ত।
নয় বছরের অনাথ এক বালিকা পরিচারিকাকে মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার অযোধ্যা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বালিকার নাম টুম্পা পাহান। মালিকের বাড়ি থেকে রাতেই সে পালিয়ে শহরের চকভবানী এলাকায় এলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রাতেই তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসি মনোজ চক্রবর্তী জানান, অভিযোগ মিলেছে। অভিযুক্ত দম্পতি গৌড় দাস ও তার স্ত্রী টুম্পাদেবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। গৌড়বাবু পুলিশের এনভিএফ কর্মী বলে জানা গেলেও তা সঠিক কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহর লাগোয়া অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই দম্পতি পালিয়েছেন বলে আইসি জানান।
প্রতিবেশীরা জানান, গত দেড়-দুই বছর থেকেই ওই বালিকাকে বাড়িতে রেখে অভিযুক্ত দম্পতি পরিচারিকার কাজ করাতেন। এদিন হাসপাতালে টুম্পা জানায় দু’বছর আগে বাবা ও মা মারা যায়। সেই সময় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তাম। এক জামাইবাবু ওই বাড়িতে থাকা খাওয়ার চুক্তিতে কাজে দেয়। কাজে একটু ভুল হলেই মালিক ও তার স্ত্রী মারধর করত। টুম্পা জানিয়েছে, সোমবার রাতে বাসন মাজতে দেরি হওয়ায় লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মালিকের স্ত্রী টুম্পাদেবী। তারপরে ওই বাড়ি থেকে পালাই। এদিন বালিকার জামাইবাবু রতন কর্মকার জানান, শিশুটিকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গৌড় দাস রেখে দেয়। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি যত্ন তো দূরে থাক উল্টে মারধর করা হত। পুলিশকে সব জানিয়েছে।
রাজ্যের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে অভিযোগ করেছে চাইল্ডলাইন। শাখার কো-অর্ডিনেটর সূরজ দাস জানান, অনাথ শিশুটিকে সুরক্ষা না দিয়ে তাকে দিয়ে অভিযুক্তরা পরিচারিকার কাজ করাত। কাজকর্ম ঠিকমতো না হলে চলত মারধর। জামাইবাবুর ভূমিকাও পুলিশকে খতিয়ে দেখে বলা হয়েছে। জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান তথা সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মজুমদার বলেন, “বিষয়টি আমরা দেখছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.