ইটের দেওয়াল এবং ছয়টি তালা ভেঙে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুঠ চালানোর চেষ্টার সময় পুলিশ আসায় গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। সোমবার গভীর রাতে শামুকতলা থানার টটপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ছয় জন একটি ছোট গাড়িতে করে আসে। পালানোর সময় তারা চার রাউন্ড গুলিশ চালিয়েছে। হতাহতের খবর নেই। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “দুষ্কৃতীরা ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। দলটি ভাটিবাড়ির দিকে পালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।”
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। এই নিয়ে গত সাত বছরে ছয় দফায় ওই ব্যঙ্কে লুঠপাটের চেষ্টার ঘটনা ঘটল বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর রাতে শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শামুকতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ওই ব্যাঙ্কের দূরত্ব ৫০০ মিটারও নয়। অথচ বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। দুষ্কৃতীরা ধরাও পড়ছে না। ব্যাঙ্কটির শাখার ম্যানেজার মনোজ মির্ধা বলেন, “সব ঠিকঠাক আছে বলে মনে হচ্ছে। কিছু খোয়া যায়নি। তাও সব পরীক্ষা করে দেখছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা নরেন বর্মন জানান, রাতে গুলির আওয়াজ পেয়ে জানলা খুলে দেখি পাকা রাস্তার উপর পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে। উল্টো দিকের কাঁচা রাস্তায় একটি মারুতি ভ্যান। কয়েকজন ছুটে এসে ওই গাড়ীতে উঠে পালিয়ে গেল। সেই সময় আরও তিনটি গুলি চলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের পিছনের দেওয়াল ভাঙে। এর পরে দরজার ছয়টি তালা পরপর ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করে। ফাঁড়ির টহলদারি ভ্যান আওয়াজ পেয়ে সেখানে আসতেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে শুরু করে। ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায় বলে পুলিশের দাবি।
এই ঘটনার পরে নিরাপত্তা দাবিতে সরব হয়েছেন এসাকার বাসিন্দারা, ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অঙ্কুর সাহা জানান, গত দুই মাসে তিনটি সোনার দোকানে দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মারধর, গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসায়ী, বাসিন্দারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন। |