|
|
|
|
অসত্য প্রচার করছে পুলিশ, দাবি বামেদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রশাসনিক ভাবে ধর্মঘটের মোকাবিলা হলেও দলের কর্মীদের সংঘাতের পথে বারণ আছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী মঙ্গলবার দলের সমস্ত জেলা সভাপতিকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও মঙ্গলবার মালদহে বলেছেন, “আমরা বলেছি প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করবে। আমাদের দল তো রাস্তায় নেমে ডান্ডাবাজি করবে না।” অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রও জানিয়ে দিয়েছেন, জোর করে ধর্মঘট করতে কাউকে বাধ্য করা হবে না।
এই ধর্মঘটকে ‘বেআইনি’ বলে রাজ্যে পুলিশ এ দিন প্রচারে নামায় নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন। শ্যামলবাবুর বক্তব্য, “হাইকোর্ট কখনওই বলেনি ধর্মঘট বেআইনি। আদালত বলেছে, জোর করে ধর্মঘট করা যাবে না। পুলিশ আদালতের নাম নিয়ে অসত্য কথা বলছে!” শ্যামলবাবু আরও বলেন, “বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং পুরসভায় নোটিস ঝুলিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট রায় দিয়েছে এই ধর্মঘটে যোগ দিলে কর্মচ্ছেদ হবে। এমন কোনও নির্দেশ হাইকোর্ট দেয়নি।” সিটুর রাজ্য সভাপতি জানান, তাঁরা এই সব ঘোষণা এবং নোটিসের ছবি ও ভিডিও তুলে রেখেছেন। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন। |
আজ কাজ করবেন। তাই প্রায় ৪০০ কর্মী রাত কাটালেন খাদ্য ভবনে। —নিজস্ব চিত্র |
ধর্মঘটকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যবাবু এ দিন বলেন, “ধর্মঘটে যোগ দেওয়া বা না-দেওয়ার অধিকার প্রত্যেকের আছে বলে আমরা মনে করি। জোর করে ধর্মঘট করা বা জোর করে ধর্মঘট ভাঙা, দু’টোরই আমরা বিরোধী।” ধর্মঘটকারীদের তরফে এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্তও এ দিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিল্লিতে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করেই রাজ্যে পরিবর্তন এনেছেন। আমরা তো প্রতিবাদ করেই দেশে একটা পরিবর্তন আনতে চাই! তা হলে জবরদস্তি করছেন কেন?”
আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি যে যেখানে আছেন, সেখানে সমস্ত কিছু যেন তাঁরা সচল রাখেন।” আইএনটিইউসি-রই একাংশ অবশ্য এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছে! |
|
|
|
|
|