টুকরো খবর
বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান, বিতর্কে প্রশাসন

অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ছবি: শুভ্র মিত্র।
বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু হল মঙ্গলবার। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সদর দরজার কাছে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে প্রশাসনের এই সভাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই দোকানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। মাদ্রাসা পরীক্ষার মধ্যে প্রকাশ্যে মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানো নিষিদ্ধ। তার উপর হাসপাতাল চত্বরেও এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরেও প্রশাসন কী করে এ দিন সাউন্ডবক্স বাজানোর অনুমতি দিল, তা নিয়ে হাসপাতালের রোগীদের একাংশের সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও। বিকেলে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে ওই অনুষ্ঠান চলে। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অদীপকুমার রায়-সহ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। রোগীদের একাংশের অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরেও সাউন্ডবক্সের শব্দ বেশ জোরে আসছিল। তাতে রোগীরা খুব কষ্ট পান। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের কটাক্ষ, “সরকার এখন মাইক বাজাতে আমাদের অনুমতি দিচ্ছে না। অথচ প্রশাসনই মাইক বাজিয়ে সভা করছে!” শ্যামবাবুর জবাব, “আমি জানি না। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ওঁরাই জানেন।” মহকুমাশাসকের দাবি, “সাউন্ডবক্সগুলি জোরে বাজানো হয়নি।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা বলেন, “হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কাছে মাইক বা সাউন্ডবক্স বাজানো অভিপ্রেত নয়। তবে এই ওষুধের দোকানের প্রচার হওয়াও দরকার ছিল।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এই দোকান থেকে সব ওষুধেই ৪৮ শতাংশ ছাড় মিলবে।

ঢাকায় মানভূম আন্দোলনের চর্চা
মানভূমের ভাষা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হল বাংলাদেশে। সম্প্রতি ঢাকার অ্যাকাডেমি অব হিস্ট্রি ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণাধর্মী লেখা পাঠের আয়োজন করেছিল। সেখানে পুরুলিয়ার মানভূম কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান প্রদীপ মণ্ডল ‘টুসু সত্যাগ্রহ- স্বাধীন ভারতের মানভূম জেলার বাংলা ভাষার গণআন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা করেন। ঢাকার অ্যাকাডেমি অব হিস্ট্রি-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সামিনা সুলতানা বলেন, “৭-৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণাধর্মী লেখা পাঠ হয়। পুরুলিয়া জেলার মানভূম কলেজের অধ্যাপক প্রদীপ মণ্ডলের মানভূমের ভাষা আন্দোলন লেখাটি সমাদৃত হয়েছে।” প্রদীপবাবু বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে। ওই ইতিহাসে পুরুলিয়া তথা তৎকালীন মানভূম জেলার ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যুক্ত হলে তা পূর্ণতা পাবে।” তিনি জানান, ওই আন্দোলনে গুলি চালানোয় কারও মৃত্যু না হলেও পুরোনো নথি থেকে জানা যায়, তৎকালীন বিহার সরকার দমনপীড়ন নীতি নিয়েছিল। মানভূমকে পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে ১৯৫৬ সালের ৭ এপ্রিল এক হাজার মানুষ কলকাতা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর মানভূমের ১৬টি থানা এলাকা নিয়ে পুরুলিয়া জেলা গঠিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভূক্ত হয়।

জেলা স্কুলে বিক্ষোভ
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র ভর্তিতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ঘটনা। অভিযোগ, ওই স্কুলে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক কিছু ছাত্রকে ভর্তি করছেন। বিক্ষোভকারী পোদ্দারপাড়ার হারাধন দে, কাঠজুড়িডাঙার চণ্ডী সিংহ রায় বলেন, “এই স্কুলে ছাত্র ভর্তির নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়াল খুশি মতো ছাত্র ভর্তি করে যাচ্ছেন।” প্রধান শিক্ষক সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “৫ ফেব্রুয়ারি বৈঠক করে স্কুলে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেও প্রধান শিক্ষক ছাত্র ভর্তি করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।”

গ্রেফতার স্বামী
আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক বধূর। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রানিবাঁধ থানার বেথুয়ালা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম গীতারানি মণ্ডল (২৫)। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামী শ্যামল মণ্ডলকে। সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে ওই বধূ অগ্নিদগ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ মৃতার বাবা সরোজকুমার মণ্ডলের। মঙ্গলবার তিনি পুলিশের কাছে তাঁর জামাই শ্যামল মণ্ডল ও বেয়ান তারারানি মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, বধূর শাশুড়ি পলাতক। তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে।

পঞ্চায়েতে তালা
আগাম জানিয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে প্রধানকে না পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে রাইপুর ব্লকের মেলেড়া পঞ্চায়েত অফিসের ঘটনা। পঞ্চায়েতটি ঝাড়খন্ড জনমুক্তি মোর্চা পরিচালিত। প্রায় একঘণ্টা পঞ্চায়েত অফিসে তালা দেওয়া হয়। পরে প্রধান মুক্তারানি মুর্মু পঞ্চায়েত অফিসে আসার পরে তৃণমূল কর্মীরা তালা খুলে দেন। প্রধানকে তাঁরা স্মারকলিপি দেন। রাইপুর ব্লক যুব তৃণমূল নেতা রাজু সিংহের অভিযোগ, “এলাকায় ১০০ দিন কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক দূর্নীতি করছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান।” পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, “পুরোটাই অপপ্রচার।”

মৃত আরও এক
গয়ার কাছে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় পুরুলিয়ার আরও একজনের মৃত্যু হল। জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কোটশিলা এলাকার চিতরপুর গ্রামের নিতাই পরামাণিকের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সেখানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনাস্থলে যাওয়া কোটশিলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফণিভূষণ কুমার বলেন, “মগধ মেডিক্যাল কলেজ থেকে জখমদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনকে রাঁচিতে ভর্তি করা হয়েছে।”

বনধ বিরোধী মিছিল
মেজিয়া ও বিষ্ণুপুর শিল্পাঞ্চলে মঙ্গলবার বনধ বিরোধী প্রচার মিছিল করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা শালতোড়ার বিধায়ক স্বপন বাউরি বলেন, “কর্মনাশা বনধ মানুষ চাইছেন না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.