স্থানীয় ক্রিকেটে আম্পায়ার নিগ্রহ আটকাতে এ বার কড়া পদক্ষেপ নিল সিএবি-ও। সিএবি লিগে জর্জ টেলিগ্রাফ বনাম ওয়াইএমসিএ ম্যাচে আম্পায়ার সমীর ঘোষকে চড় মারায় ক্লাবের ক্রিকেট সচিব পার্থ সিংহকে বহিষ্কার করেছিল জর্জ কর্তৃপক্ষ। সিএবি সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর তো বসালই, সঙ্গে জর্জের কোচ অনুপ দাসকেও নির্বাসনে পাঠাল। স্থানীয় ক্রিকেটের চলতি ক্রিকেট মরসুমে জর্জের কোচ হিসেবে মাঠে থাকতে পারবেন না অনুপ দাস। ওই ঝামেলায় ইন্ধন জোগানোর অপরাধে। যিনি এক সময় বাংলার জার্সিতে নিয়মিত খেলেছেন।
এ দিন টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠক ছিল সিএবিতে। সিএবি কর্তাদের দাবি, জর্জের পক্ষ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে কোথাও লেখা ছিল না যে কোচ ইন্ধন জুগিয়েছেন পুরো ব্যাপারে। কিন্তু আম্পায়ার্স রিপোর্ট থেকে সেটা জানতে পারা যায়। সিএবি তখন দু’টো কাজ করে।
এক) পার্থ সিংহর উপর জর্জের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখে দেয়।
দুই) তালিকায় কোচ অনুপ দাসের নামও যোগ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, চলতি মরসুমে জর্জ কোচ হিসেবে তিনি মাঠে থাকতে পারবেন না। এক বছরের নির্বাসন।
পরে সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, “ক্লাব ক্রিকেটে আম্পায়ারদের নিগ্রহ খুব বাজে জায়গায় যাচ্ছে। আম্পায়ারদের যাতে এ রকম ঘটনার মুখে আর না পড়তে হয় তাই এই ব্যবস্থা।” সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, “জর্জের চিঠিতে কোথাও অনুপ দাসের ব্যাপারে লেখা ছিল না। সেটা আমরা জানতে পেরেছি। আর জানতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত।”
যে সিদ্ধান্তকে রীতিমতো একতরফা বলে দাবি তুলছেন অভিযুক্ত কোচ। “আমি বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলেছি। নিয়মিত খেলতাম। বাংলার ক্রিকেটের জন্য সব কিছু করেছি। তার পর এটাই আমার প্রাপ্য ছিল সিএবি-র থেকে,” শাস্তির খবর পাওয়ার পর বলছিলেন অনুপ। তাঁর বক্তব্য, সে দিন মাঠের ঝামেলায় তিনি কোনও রকম ইন্ধন জোগাননি। “আমি শুধু একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আম্পায়ারকে বলেছিলাম, এটা আউট দিলেও পারতে। আর তো কিছু বলিনি। সবচেয়ে অবাক লাগছে শুধু আম্পায়ারদের কথা শুনে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সিএবি। আমাকে ডেকে তো জিজ্ঞেস করতে পারত কী হয়েছিল।”
এ দিকে, বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলা টিমে দু’টো বদল হল। ঝাড়খণ্ড ম্যাচের টিম থেকে বাদ পড়ে গেলেন অরিন্দম দাস ও দেবব্রত দাস। দলে এলেন ব্যাটসম্যান জয়জিৎ বসু এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সঞ্জীব স্যান্যাল। |