চশমা-সমেত বাইশ গজে বীরেন্দ্র সহবাগ।
‘ভারতের কাউকে ভয় পাই না’ বলে মাইকেল ক্লার্কের গর্জন।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট-যুদ্ধ নিয়ে যুবরাজ সিংহের আগাম তেতে ওঠা।
অশ্বিন-ওঝাদের নিয়ে অস্ট্রেলীয় কোচ মিকি আর্থারের হুমকি।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের শহর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট শুরু হতে বাকি আর তিন দিন। কিন্তু যুদ্ধের দামামা এখনই বাজতে শুরু করেছে।
চেন্নাই টেস্ট থেকেই চশমা পরা সহবাগকে ব্যাট হাতে দেখা যেতে পারে। এত দিন যা ছিল শুধুই জল্পনা, এ বার তা বাস্তবে পরিবর্তিত হওয়ার অপেক্ষায়। সহবাগ নিজে কিছু জানাননি, কিন্তু জানা গিয়েছে যে ভারতীয় দলের বিস্ফোরক ওপেনারকে প্রচণ্ড মাথার যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে। তাই চশমার আমদানি। এবং টেস্টেও চশমা পরেই তাঁকে নামতে দেখার সম্ভাবনা। |
তবে সহবাগ চশমা পরুন না পরুন, অস্ট্রেলিয়া তাঁকে এবং টিম ইন্ডিয়াকে কতটা সমীহ করবে, সন্দেহ আছে। প্রস্তুতি পর্বে যতই ধাক্কা খেতে হোক মাইকেল ক্লার্কের টিমকে, অস্ট্রেলীয় কোচ কিন্তু অবিচল। আর্থার বরং পরিষ্কার বলছেন, “আমাদের মাথায় একটাই জিনিস ঘুরছে। কী ভাবে ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানো যায়।”
একই সঙ্গে ভারতীয় স্পিনকেও ব্যাগি গ্রিনরা যে রেয়াত করবেন না, সেটা মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। বলে দিয়েছেন, “যাদের বিপক্ষে খেলতে নামছি, তাদের মোটেই ভয় পাচ্ছি না। মাথায় রাখছি যে ওদের করা প্রতিটা বলের বিরুদ্ধে আমাদের সফল হতে হবে। আমাদের টিম ভাল, স্পিন বোলিংয়ে অনেক ভাল অস্ত্র আমাদেরও আছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, সব জায়গাতেই আমাদের ভাল ক্রিকেটার আছে।”
অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন আবার জানিয়ে রেখেছেন, ভারতীয় স্পিনারদের সামলানোর দাওয়াইটা তাঁরা ইংল্যান্ডের কাছ থেকেই নিতে চান। বলে রেখেছেন, “ইংল্যান্ড রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছে। কী ভাবে ভারতীয় স্পিনারদের সামলাতে হবে, সেটা ওরা টেস্ট সিরিজ জিতে বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে এটাও ঠিক, আমাদের সিরিজ জিততে হলে ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা বার করে আনতে হবে।’’ আপাতত ঠিক আছে, ওয়াটসন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন। |
শুরু হল অজিদের পেশি প্রদর্শন। |
মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই উড়ে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিম ইন্ডিয়া। ভারত অধিনায়ক আবার ঠাসা ক্রিকেটসূচির কারণে এ বারও বি কম পরীক্ষা দিয়ে উঠতে পারলেন না। যুবরাজ সিংহ টেস্ট টিমে নেই। কিন্তু বাইরে থেকেই উত্তেজনার আঁচ পাচ্ছেন যথেষ্ট। বলেও ফেলেছেন, “হরভজন সিংহ টিমে থাকায় ভারতের সুবিধাও হল। ও অভিজ্ঞ স্পিনার তো বটেই, একই সঙ্গে ভাল ব্যাটসম্যানও। দুর্ধর্ষ একটা সিরিজ হতে চলেছে।”
ওয়ার্নার বনাম ভারতীয় স্পিনের সম্মুখসমরের সম্ভাবনা যেখানে থাকছে ভাল রকম।
“আগামী দু’দিন দেখতে হবে ওয়ার্নার কী অবস্থায় থাকে। নেটে কী করে না করে। তবে ওয়ার্নারকে পাওয়ার ব্যাপারে আমরা ভাল রকম আশাবাদী। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওয়ার্নার এখনও পেসারদের প্র্যাক্টিসে খেলেনি,” বলছেন আর্থার। ওয়ার্নার নিজে আবার প্রথম টেস্টে নিজের নেমে পড়া নিয়ে নয়, বেশি টেনশনে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিস্ফোরক ওপেনার নিজের বুড়ো আঙুলের চোট সারিয়ে প্রথম টেস্টে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু সচিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জেতা নিয়ে তিনি একটু সতর্ক। বলেছেন, “আমার মনে হয়, যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঁচিশ হাজার রান করতে পারে, সে নিঃসন্দেহে কিংবদন্তি। দিনের শেষে ওর নামের পাশে রেকর্ড আছে। দুর্ধর্ষ পরিসংখ্যান আছে। সচিন নিজের ডেরায় খেলবে। আর আমরা জানি ও কী করতে পারে, না পারে। সচিন একশো বলে একশো করে চলে যেতে পারে। ভারতের পরিবেশ ওর খুবই ভাল চেনা। আমরা কোনও অবস্থাতেই চাই না ও আমাদের শাসন করুক।”
|