তত্‌পর বিত্ত নিগম
তফসিলি উন্নয়নে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উদ্যোগ
ফসিলিদের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ দিতে পদক্ষেপ শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। যদিও চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই সকলকে ঋণ দেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ শতাংশ মানুষকে ঋণ দেওয়া গেলেও বাকিদের দেওয়া যায়নি। অর্থের দিক দিয়ে দেখতে গেলে ৫৫ শতাংশের মতো অর্থ ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই অর্থবর্ষ শেষ হতে আর মাত্র মাস দেড়েক বাকি। এই সময়ের মধ্যে কী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব? তফসিলি জাতি ও উপজাতি বিত্ত নিগমের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার রাহুল নাথ বলেন, “উপযুক্ত ব্যক্তি চিহ্নিত করতে কিছুটা সময় লাগে। ঋণ দিতে তো সময় লাগে না। উপভোক্তা চিহ্নিতকরণের কাজ প্রায় শেষ। ফলে চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই সকলকে ঋণ দিয়ে দিতে পারব বলেই আমাদের অনুমান।”
তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে সরকারের। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মিলিয়ে এই প্রকল্প চালায়। যে প্রকল্পের মাধ্যমে কখনও স্বসহায়ক দলকে ঋণ দেওয়া হয় আবার কখনও ব্যক্তিগত ভাবে ঋণ দেওয়া হয়। মূলত, স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যেই এই ঋণ দেওয়া হয়। তফসিলিরা বিপিএল হলে এতে আলাদা করে ছাড় পান। এই রকম ৬টি প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে ৬০০৯ জনকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। মোট ১২ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার কথা। অনেক আগেই উপভোক্তাদের নাম এসে গিয়েছে ব্লক স্তর থেকে। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ৬৪১ জনকে ঋণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অর্থের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। যদিও এখনও বাকিদের ঋণ দেওয়া যায়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদনকারীদের প্রকৃত অবস্থা খুঁটিয়ে দেখেই ঋণ দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে ব্লক স্তরে একবার তা খতিয়ে দেখে নাম পাঠানো হয়। পরে জেলাস্তরে ঋণ অনুমোদনের পর ফের আর একবার তদন্ত করা হয়। কারণ, ঋণ নিয়ে তিনি প্রকৃত কোনও কাজ করতে ইচ্ছুক কি না, ঋণ ফেরত দিতে পারবেন কি না, এই সবও দেখতে হয়। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার কম সুদে ঋণ দিলেও বছরের শেষে নিয়ম মেনে সুদ-সহ সমস্ত টাকা জেলা তফসিলি জাতি উপজাতি বিত্ত নিগমের কাছ থেকে ফেরত নেয়। উপভোক্তারা ঋণ পরিশোধ না করলে বিত্ত নিগম বিপাকে পড়বে।
বিত্ত নিগমের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৮০ এর দশকে তারা কাজ শুরু করেছিল জেলায়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৪১ হাজার ৬২৩ টাকা। বারবার চেষ্টা করে তার মধ্যে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ২১১ টাকা ঋণ আদায় করা সম্ভব হয়েছে। অর্থাত্‌ বকেয়া ঋণের ৬১.৭৩ শতাংশ অর্থ আদায় করা গিয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, এই কারনেই ঋণ দেওয়ার আগে ভাল করে খতিয়ে দেখতে হয়। এই ঋণের মধ্যে রয়েছে এসসিএ টু এসসিপি অর্থাত্‌ স্পেশাল সেন্ট্রাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু স্পেশাল কম্পোনেন্ট প্ল্যান। তফসিলি জাতির সদস্যদের ঋণ দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা ছাড় রয়েছে। রয়েছে স্পেশাল সেন্ট্রাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু ট্রাই সাব প্ল্যান (এসসিএ টু টিএসপি)। এক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় তফসিলি উপজাতিদের। এ ছাড়াও রয়েছে ন্যাশনাল এসসি ফিনান্স ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনএসএফডিসি)। যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন তফসিলি জাতির সদস্যরা। বিপিএল হলে ১০ হাজার টাকা ছাড়ও রয়েছে। নাহলে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ মিলবে। এনএসটিএফডিসি প্রকল্পে উপজাতিরাও সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারে ৬ শতাংশ সুদে। মহিলা সমৃদ্ধি যোজনাতে ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। বিপিএল হলে ১০ হাজার ছাড় ১৫ হাজার টাকা সুদে ঋণ নিতে হয়। আর লঘু ব্যবসা যোজনাতে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেতে পারে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.