মেঘালয়, নাগাল্যান্ড
মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পদ পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে কয়েক গুণ
মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে মেঘালয়ে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩-এ। তার মধ্যেও আবার কংগ্রেসের প্রায় সব প্রার্থীই কোটিপতি। অন্য দিকে, নাগাল্যান্ডে এক দশক ক্ষমতায় না থাকা কংগ্রেসের কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবু রাজ্যের ধনীতম প্রার্থীর শিরোপা এখনও কংগ্রেসের কে এল চিসির দখলেই।
২০০৮ সালে মেঘালয়ে মোট প্রার্থীর মাত্র ৯ শতাংশ ছিলেন কোটিপতি। এ বার সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশে। এর মধ্যে ১১৩ জন প্যান কার্ডের বিবরণ দেননি। ধনীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী হলেন উমরয়ের কংগ্রেস প্রার্থী গাইটলাং ধর। তাঁর ঘোষিত সম্পত্তির পরিমান ২৩৫ কোটি ৬৪ লক্ষ। দ্বিতীয় স্থানে, অনেকটাই পিছনে রয়েছেন সেলা-র কংগ্রেস প্রার্থী জ্রোপসিং নোংখলাউ। সম্পত্তির পরিমাণ ৫২ কোটি ১ লক্ষ। ৩৯ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার সম্পদ নিয়ে তৃতীয় ইউডিপির মেটবা লিংডো। রাজ্যে লাখ টাকার কম সম্পত্তি থাকা প্রার্থী মাত্র ১৪ জন। দরিদ্রতম প্রার্থীর নাম জিআর সিংকলি, তিনি এনসিপি প্রার্থী। তাঁর কাছে রয়েছে মাত্র আড়াই হাজার টাকা।
সমীক্ষা অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দ্বিতীয়বার লড়তে চলা ১১১ জন প্রার্থীর গড়ে সম্পত্তি বেড়েছে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা করে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ২০০৮ সালে ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার মালিক ছিলেন। এ বারে তাঁর ভাঁড়ারে রয়েছে ১১ কোটি ৭ লক্ষের সম্পত্তি। অবশ্য মুকুলের অস্থাবর সম্পত্তির তুলনায় তাঁর বড় মেয়ে মিয়ানির অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ঢের বেশি। বাবার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৮১ লক্ষ টাকার। মা তথা মহেন্দ্রগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী ডিকাঞ্চি সিরার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৭২ লক্ষ। সেখানে, মেয়ের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে ৬ কোটি টাকা! ট্রাক, ম্যাটাডর, এসইউভি, সেডান মিলিয়ে মিয়ানির কাছে ১৩টি গাড়ি রয়েছে। ব্যাঙ্কে তাঁর নামে রয়েছে ৩ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। আর খোদ মুকুলের রয়েছে একটি মিতসুবিশি পাজেরো, জিপসি, পালিও আর .৩২ বোরের রিভলভার। মুকুলের স্ত্রীও কোটিপতি। দু’জনের পেশাই কিন্তু ‘সমাজসেবা’। কেবল মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই নয়, নির্দল প্রার্থী জবারওয়েল লাপাং, ডোলাং সখলেট, স্ট্যানলিউইস রিম্বাই, লুরসাই ওয়ালাংদের ‘বেকার’ বা ‘সমাজসেবী’ স্ত্রীরাও স্বামীর চেয়ে বেশি সম্পদের মালকিন।
নাগাল্যান্ডের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালে ২১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জন ছিলেন কোটিপতি। এ বার, মোট ১৮৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৫ জন কোটি টাকার গণ্ডি পার করেছেন। কোটিপতি প্রার্থীর হিসেবে শাসকজোট ‘ড্যান’-এর প্রধান দল এনপিএফ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। তাদের ৬০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জনই কোটিপতি। কংগ্রেসের ৫৭ জন প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি মাত্র ২৫ জন। এনসিপির ২ জন ও ইউএনডিপির ১ জন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও ২০০৮ সালে ৬ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা নিয়ে লড়তে নামেন। ৫ বছর পর তাঁর সম্পত্তি ৩০ কোটি ৭ লক্ষের।
তবে নাগাল্যান্ডে সম্পদের দিক থেকে প্রথম স্থানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে এল চিসি। তাঁর সম্পত্তির মূল্য ৫০ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। তবে সম্পত্তির অনুপাত বৃদ্ধির হারে বাকিদের টেক্কা দিয়েছেন লংলেং-এর সংযুক্ত জনতা দলের প্রার্থী বি এস গাংলাং। গত বার তাঁর ছিল মোটে ১০ হাজার টাকা। এ বার তিনি ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার সম্পত্তির মালিক। নাগাল্যান্ডের দরিদ্রতম প্রার্থী হলেন লেইয়াং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লিংকো সাংটাম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্রই ১ লক্ষ ১ হাজার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.