কপ্টার-দুর্নীতি |
অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চুক্তি নিয়ে তথ্য দেবে ব্রিটেন, আশ্বাস ক্যামেরনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কাছে অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড সংস্থার সঙ্গে হওয়া কপ্টার-চুক্তির পূর্ণাঙ্গ নথি চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ইতালির ফিনমেকানিকার অধীনস্থ সংস্থা অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ডের কাছ থেকে ভারতের কপ্টার কেনায় ঘুষের অভিযোগ উঠেছে। অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড ব্রিটেনে নথিভুক্ত।
দু’দেশের শীর্ষ বৈঠক নির্ধারিত সময়ের থেকেও বেশি গড়িয়েছে কপ্টার-ঘুষ কাণ্ডের বিস্তারিত আলোচনায়। ক্যামেরন আশ্বাস দেন, এই বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা করবে লন্ডন। ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ককে ‘বিশেষ অংশীদারিত্বের’ মর্যাদা দেওয়াকেই সফরের মূল সুর করতে চেয়েছিলেন ক্যামেরন। কিন্তু কপ্টার-চুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন মনমোহন। |
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
মঙ্গলবার, নয়াদিল্লিতে। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়াহা |
বৈঠকের পরে ক্যামেরনকে পাশে নিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি ২০১০-এ অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে কপ্টার চুক্তির সময় অন্যায্য পন্থা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটিকে বলা হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বক্তব্য জানাতে। ব্রিটিশ সরকারের সর্ম্পূণ সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”
ক্যামেরন বলেছেন, “আমাদের দেশে ঘুষ-বিরোধী আইন এতটাই শক্তিশালী, যা বিশ্বের অন্য কোনও দেশেই বিরল। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের অনুরোধে অবশ্যই আমরা সাড়া দেব।”
কপ্টার-ঘুষ নিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লির দিকে আজ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে লন্ডন। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যামেরন এ কথা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, ২০১৪ সালে তাঁদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর নয়াদিল্লিকে বড় ভূমিকায় দেখতে চায় ব্রিটেন। মনমোহন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পরিবর্তনে ভারত সহযোগিতা করতে চায়। সে কথা ক্যামেরনকে জানানো হয়েছে। |
পথের সাথী
নয়াদিল্লিতে এক কলেজের অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে আমির খান। মঙ্গলবার। ছবি: পি টি আই |
আজ পাকিস্তানের প্রসঙ্গও তোলেন ক্যামেরন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা চাই সুস্থির এবং নিরাপদ পাকিস্তান। মুম্বই সন্ত্রাসে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দিক ইসলামাবাদ এটাই কাম্য। আমরা চাই না যে আমাদের সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান আবার জঙ্গিদের স্বর্গে পরিণত হোক।”
আজ দু’দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়নি ঠিকই কিন্তু বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের অনেকগুলি বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো, ভারতে আরও ব্রিটিশ বিনিয়োগ আনা, শক্তি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়ানো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। দু’দেশের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে একটি যৌথবিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। |
|