প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুকুল দে-র নাতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল খোদ বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে বোলপুর থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন প্রয়াত শিল্পীর নাতি শিবশ্রী উকিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি জমিতে বিশ্বভারতীর সীমানা প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রয়াত শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে বিশ্বভারতীর ঝামেলা দীর্ঘ দিনের। বিষয়টি নিয়ে অতীতে বোলপুর আদালতে মামলাও হয়েছিল। সেই মামলার রায় অবশ্য মুকুলবাবুর পরিবারের পক্ষেই গিয়েছে। শিবশ্রীবাবুর আইনজীবী শৈলেন মিশ্র জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে শিবশ্রীবাবু শান্তিনিকেতনের সেবাপল্লিতে নিজের বাড়ির সামনে গাড়ির অবৈধ পার্কিং আটকানোর জন্য চলাচলের পথটুকু রেখে বাকি জায়গায় খুঁটি পুঁতেছিলেন। কিন্তু এ দিন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় সদলবলে এসে সেই খুঁটি উপড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। শিবশ্রীবাবুর দাবি, “তখন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আমি বাড়ি থেকে বাইরে যাচ্ছিলাম। ওই সময় সুপ্রিয়বাবু সদলবলে খুঁটি উপড়ে ফেলতে শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করেন। আমার কাছে থাকা কয়েকটি জরুরি ফাইলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আমাকে বাঁচাতে এসে বাড়ির কেয়ারটেকার রানি বিবি ও মিনু বিবির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। মারধর করা হয় ইকবালকেও।” শৈলেনবাবুর অভিযোগ, “কোনও অজ্ঞাত কারণে মঙ্গলবার আমার মক্কেলকে খুন করার চেষ্টা করেছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করাতেই আক্রোশের বশে শিবশ্রীবাবুকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে।” তাঁরা এ নিয়ে বোলপুর থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত সুপ্রিয়বাবু অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব ডি গুণশেখরণ। |