স্টলের ত্রিপল কেটে প্রচুর বই চুরি হল ইসলামপুরে। অভিযোগ, চুরি যাওয়া বইয়ের অর্থমূল্য লক্ষাধিক টাকা। ইসলামপুর হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলায় ঘটনাটি ঘটে। সোমবার বিক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছে ঘটনাটি জানতে পারেন। তাঁরা দেখেন কয়েকজন ছেলে বই নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বই মেলার রক্ষীর সঙ্গে হাতাহাতিও হয় চুরি করতে আসা ওই ছেলেদের। বিক্রেতাদের দাবি, লক্ষাধিক টাকার বই চুরি হয়েছে। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সমনজিত সেনগুপ্ত বলেন, “বই বিক্রেতাদের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। এক ডেপুটিম্যাজিস্ট্রেটকে মেলায় পাঠিয়েছি। ঘটনায় পিছনে কোনও গাফিলতি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সোমবার ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলার শেষ দিন। ১২ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হয়। শেষ দিনে চুরির ঘটনায় অস্বস্তিতে উদ্যোক্তারা। মান রাখতে বই বিক্রেতাদের যেন ক্ষতির মুখে পড়তে না-হয় সেই চেষ্টাও শুরু হয়। তবে মেলা কমিটি কর্তারা যে উদ্যোগ গ্রহণ করুন না কেন বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, মেলার স্টলগুলির উপরের ত্রিপল ঠিক মতো না থাকায় শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে বই ভিজে যায়। মেলায় রক্ষী না থাকায় প্রতিদিন চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন প্রকাশন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ১৫টি স্টলে চুরি হয়েছে। কলকাতা থেকে আসা এক প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার সমর সরকার বলেন, “ইসলামপুরে বইমেলায় এর আগে এত অনিয়ম দেখিনি।” একই বক্তব্য মালদহের এক প্রকাশন সংস্থার কর্তা অপূর্ব বসাকের। তিনি বলেন, “একে জলে ভিজে প্রচুর বই নষ্ট হয়েছে, তার উপরে চুরি। কর্তৃপক্ষকে সবই জানানো হয়েছে।”
খবর পেয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণে যান ইসলামপুর থানার আইসি মকসুদুর রহমান। ঘটনার পর প্রকাশনা সংস্থার কর্তা ও কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মেলা কর্তৃপক্ষকে। সকালের ঘটনার পরে প্রকাশন সংস্থার অনেকে স্টলের বই গুটিয়ে নিয়েছিলেন। পরে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরে তাঁরা বই বিক্রি করতে রাজি হন। দুপুরে এক ঘন্টা বিক্রি বন্ধ ছিল। স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা সিংহ বলেন, “মেলায় এসে শুনি বই চুরি হয়েছে। ইসলামপুবাসীর কাছে লজ্জার। স্টলগুলি বিক্রি করতে চাইছেন না। তাই ফিরে যাচ্ছি।” |