যা দেখছি-পড়ছি, অসহ্য হয়ে উঠছে: মৃণাল সেন |
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলি তাঁর কাছে ক্রমশ ‘অসহ্য’ হয়ে উঠছে বলে জানালেন চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন। ব্যঙ্গচিত্র কাণ্ডে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা (যে-ধারায় অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়) নিয়ে সোমবার এক আলোচনাসভায় লিখিত ভাবে নিজের এই মত জানান বর্ষীয়ান পরিচালক। অসুস্থতার জন্য সভায় উপস্থিত থাকতে না-পারলেও নিজের লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে দেন তিনি। মৃণালবাবু লিখেছেন: যা পড়ছি এবং দেখছি কাগজপত্র আর টিভিতে, তা অসহ্য হয়ে উঠছে প্রতি মুহূর্তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গচিত্র ছড়ানোর ‘অপরাধ’-এ গত এপ্রিলে হাজতবাস করতে হয়েছিল অম্বিকেশবাবুকে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় শিক্ষাজগতের একটা বড় অংশ। এ দিনের লিখিত বক্তব্যে আইন ও নির্দেশ প্রসঙ্গে জওহরলাল নেহরুর একটি উক্তির উল্লেখ করেছেন মৃণালবাবু। নেহরুর উক্তি, ভয় থেকেই নির্দেশের সূত্রপাত হয়। সমাজবিজ্ঞানী-অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল কী ভাবে মধ্যমেধার ‘অত্যাচার’-এর বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তা-ও উল্লেখ করেছেন মৃণালবাবু। এ ভাবে তিনি রাজ্য সরকারকেই বিঁধেছেন বলে সভায় হাজির অনেকের মত। সভায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারার অবলুপ্তি দাবি করেন যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু। এই ধারায় ‘আপত্তিমূলক বার্তা’ পাঠানোর অপরাধে তিন বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে। চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার আলোচনাসভায় অম্বিকেশ-কাণ্ডের উল্লেখ করে বলেন, “যাঁরা যখন শাসনক্ষমতায় থাকবেন, তাঁদের রক্তচক্ষু দেখে আমাদের মতো আইন না-জানা লোকেদের পদে পদে ভয় পেয়ে চলতে হবে! তা হলে বলতে হয়, এখনও স্বাধীন হয়ে উঠিনি।”
|
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন শিল্পমন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী তত্ত্বজ্ঞানানন্দ। মঠ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মালদহ থেকে ফেরার পথে লরির সঙ্গে তাঁর গাড়ির সংঘর্ষ হয়। সোমবার ভোরে তাঁকে আনা হয় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। |