|
|
|
|
দুর্গাপুরের পরে ক্যানিং |
তোলা না দেওয়ায় আবার মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জনসভায় বলেছেন, তিনি তোলাবাজির বিরুদ্ধে। কিন্তু বার বার তারই দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে। এমনকী তোলা দিতে রাজি হলে মারধর করার অভিযোগও উঠছে দলের বিরুদ্ধে।
তোলা না দেওয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের এক সিটু নেতা তথা পরিবহণ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা তৃণমূলের এক বরো চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলরের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। রবিবার রাতে তোলা না দেওয়ায় এক ঠিকাদারের ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ে। এক্ষেত্রেও অভিযুক্তরা ক্যানিং-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শৈবাল লাহিড়ীর অনুগামী বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শৈবালবাবু সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের অন্যতম সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যানিংয়ের কুমারসা গ্রামে ওই ঘটনায় আহতের নাম সুমিত বোস। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রবিবার রাতেই পুলিশ কার্তিকবাবুর বাড়িতে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় ভাবে তৃণমূল এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তবে প্রহৃতের পরিবারের তরফে সোমবার রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে ক্যানিং থানার মোড় থেকে স্থানীয় রায়বাঘিনী এলাকা পর্যন্ত রাস্তা পাকা করার দায়িত্ব পান কার্তিক বোস। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ এ কাজের জন্য ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে। টেন্ডারের ভিত্তিতে বরাত পেয়ে কাজ শুরু করেন কার্তিকবাবু। অভিযোগ, এর পরেই শুরু হয় তোলাবাজির উৎপাত। কার্তিকবাবুর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ১ লক্ষ টাকা তোলা চান। তিনি তা দিতে রাজি না হওয়ায় রবিবার রাতে কার্তিকবাবুর ছেলে সুমিতকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়।
কার্তিকবাবু বলেন, “আমার ছেলে সুমিতই ঠিকাদারি ব্যবসা দেখাশোনা করে। কয়েক দিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী প্রশান্ত মণ্ডল, সুশান্ত মণ্ডলরা তোলা চেয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল। আমরা টাকা দিতে না চাওয়ায় ওরা তৃণমূল নেতা শৈবাল লাহিড়ীর সঙ্গে দেখা করতে বলে।’’ তাঁর অভিযোগ, “আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর করে। গুলিও ছোঁড়া হয়।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শৈবালবাবু। |
|
|
|
|
|