চা-বাগানে ন্যূনতম মজুরি ২১৭ টাকা করার চেষ্টা করবে সরকার
শ্রমমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি শ্রমিকদের
রকার নির্ধারিত হারে চা শ্রমিকদেরও মজুরি দেবার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে ২১৭ টাকা দৈনিক মজুরি পাইয়ে দিতে লাগাতার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
রবিবার বানারহাট হাই স্কুলে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রমমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ন্যূনতম মজুরি অনুযায়ী আগে চা শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হত। বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি ২১৭ টাকা হয়েছে। অথচ চা শ্রমিকরা হাতে পাচ্ছে ৯০ টাকা। বাম রাজত্বে তা তুলে দিয়ে মালিক ও কিছু ট্রেড ইউনিয়ন মিলে ন্যায্য মজুরি পাওয়া থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করে আসছে। তিন বছর অন্তর চা শ্রমিকদের মজুরি ২ থেকে ৪ টাকার বেশি মিলত না। শ্রমিকদের চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছিল। ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে সে টাকার অঙ্ক এক যোগে ৩৪ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
বানারহাটে শ্রমমন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী।—নিজস্ব চিত্র।
পূর্ণেন্দু বাবু এই দিন বলেন, “মালিকরা ৯০ টাকা নগদ বাদে শ্রমিক পিছু যে ব্যায় করে থাকেন তা ২৫-৩০ টাকার বেশী নয়। আমরা খুব শীঘ্রই ন্যূনতম মজুরির আওতায় চা শ্রমিকদের নিয়ে আসতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাব।” চা শ্রমিকদের অবস্থা ভাল নয় বলে স্বীকার করে নেন মন্ত্রী। শ্রম দফতরের পক্ষে বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে পানীয় জল, চিকিত্‌সার হাল, বিদ্যুত্‌ সহ মালিকরা আর কোন সুবিধা শ্রমিকদের দিচ্ছেন না তা দেখে ইতিমধ্যে ২০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সে রিপোর্টের ভিত্তিতে মালিকদের সঙ্গে বসে সুবিধা দেওয়ার জন্য জনাবে শ্রম দফতর। বাগান সংক্রান্ত কোনও সমস্যা সুরাহা ত্রিপাক্ষিক ভিত্তিক করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
বন্ধ বাগান খুলতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন পূর্ণেন্দু বাবু। তার কথায়, আইনি কারণে ঢেকলাপাড়া খুলতে সমস্যা হচ্ছে। দলমোড় চা বাগান দ্রুত খোলার চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। যদিও পূর্ণেন্দুবাবুর দাবি মানতে চাননি বাম নেতা তথা প্রাক্তন শ্রম মন্ত্রী অনাদি সাহু। তার কথায়,” চা ও পাট শিল্পের ক্ষেত্রে যে হেতু ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে মজুরি নির্ধারিত হয় তাই সেখানে নূন্যতম মজুরি হয়নি। কোন দিন তা ছিলও না।”
এ দিনের সম্মেলনে ভাষণ রাখতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বানারহাটের হিন্দি কলেজের ক্লাস আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে বীরপাড়ার অস্থায়ী ভবনে শুরু হবে। বানারহাটে হিন্দি কলেজের ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলে স্থানান্তরিত হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.