কিন্তু ফের কাজে বাধা পড়ে। গত বছর অগস্ট মাসের শেষ দিকে নদীতে মাছ ধরার সময় এক মৎস্যজীবীর চোখে পড়ে সেতুর নির্মীয়মাণ দু’টি স্তম্ভে বড় রকমের ফাটল। ক্রমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে পূর্ত ও সড়ক দফতর। তড়িঘড়ি সরেজমিন তদন্তে আসেন সংশ্লিষ্ট দফতরের বাস্তুকাররা। তদন্তে দেখা যায়, স্তম্ভের যতটা অংশ জলের উপরে রয়েছে সেই অংশে ঢালাইয়ের সময় বালি পরিষ্কার না করায় জোড়ার মুখে বড় ফাঁক দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় কংক্রিট জলে ধুয়ে গিয়ে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পূর্ত ও সড়ক দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার মলয় ঘোষ। ওই স্তম্ভের উপরে সেতু তৈরি করা যাবে কি না তা খতিয়ে দেখতে খড়্গপুর আইআইটি-র এক প্রতিনিধিদল হাসনাবাদে আসেন। সেতুর স্তম্ভ নির্মাণের সময় গাফিলতির কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। সেতুর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়। পূর্ত ও সড়ক দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই প্রতিনিধি দল এসে সেতুর স্তম্ভের হাল খতিয়ে দেখে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই মতোই কাজ করা হবে।
এই অবস্থায় সেতুর ভাগ্য যে ভাবে ঝুলে রয়েছে, তাতে নদীর দু’দিকের মানুষের আশঙ্কা সেতু বোধহয় তাঁদের পাওয়া হল না। অথচ গুরুত্বের দিক থেকে সুন্দরবন এলাকার মানুষের কাছে এই সেতুর প্রয়োজন খুবই। শুধু সুন্দরবন এলাকার মানুষের কাছেই নয়, সরাসরি সড়ক পথে সুন্দরবন এলাকায় পৌঁছে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের কাছেও এই সেতুর সুবিধা অনস্বীকার্য। এখন দেখার, এই সব বিষয় বিবেচনা করে প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয়। |