মেলার জায়গা পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে সিপিএম ও তৃণমূলের দফায় দফায় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পাঁচ জন পুলিশকর্মী জখম হন। নদিয়ার কল্যাণীর ঘোড়াগাছা এলাকায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে। কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “একটি মেলা নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন ইটের আঘাতে পাঁচ পুলিশকর্মী জখম হন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একটি গাড়িও। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াগাছা এলাকায় এই মেলা হয়। মেলাটি অন্যত্র সরানোর দাবি উঠেছে বেশ কিছু দিন ধরেই। সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের রবীন দাস বলেন, “স্থানীয় মানুষ চান মেলা এত দিন যেখানে হচ্ছিল, এ বারেও সেখানেই হোক। কিন্তু তৃণমূল মেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেবে বলে মেলা অন্যত্র সরাতে চায়।” কল্যাণী ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বিশ্বাস অবশ্য বলেন, “মেলা সরানোর সঙ্গত কারণ রয়েছে। সিপিএমই বরং ভয় পেয়েছে যে, মেলা সরে গেলে তাদের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।’’
প্রশাসন জানায়, তাঁদের অনুমতি ছাড়া ওই মাঠে মেলার আয়োজন শুরু হয়েছিল। কল্যাণীর মহকুমাশাসক শৈবাল চক্রবর্তীর কথায়, “ওই জমিটি বিতর্কিত। তাই মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।” কিন্তু সেখানে নাগরদোলাও বসে গিয়েছিল। তা নিয়েই গণ্ডগোল। দেবাশিসবাবুর দাবি, “গণ্ডগোলের সময়ে সিপিএম সমর্থকেরাই পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছোড়ে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে তারাই।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমল ভৌমিকের দাবি, “পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আমাদের কেউ জড়িত নন।” তাঁর দাবি, “এই গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের শক্ত ঘাঁটি। মেলাকে সামনে রেখে পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে এলাকা দখল করতে চাইছে তৃণমূল। তাদের কথা মতো কাজ করতে গিয়েই জনতার রোষানলে পড়েছে পুলিশ। আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন।” |