|
|
|
|
ধর্ষণ বাড়ছে, উদ্বিগ্ন মহিলা কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। পূর্ব মেদিনীপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। জেলায় মহিলাদের উপর অত্যাচার ও পারিবারিক হিংসার প্রকোপ খতিয়ে দেখতে তাই শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়-সহ তিন সদসের প্রতিনিধিদল। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাকক্ষে এই বিষয়ে এক সচেতনতা শিবিরও করেন তাঁরা। |
|
বৈঠকে মহিলা কমিশন। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
মহিলা কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত পরপর তিন বছরে জেলায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ২০১০ সালে ধর্ষণের অভিযোগ যেখানে ছিল ৫১টি, ২০১১ সালে তা বেড়ে হয় ৬৫টি, ২০১২ সালে ৮১টি। বেড়েছে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগও। ২০১০ সালে ৪টি গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, ২০১২ সেখানে ৮টি গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে নতুন সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলার অবনতিকেই দায়ী করছে বিরোধী বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও বিজেপি। সুনন্দাদেবী অবশ্য বলেন, ‘‘আগেও মহিলাদের উপর অত্যাচার হত। এখনও হচ্ছে। তবে এখন তুলনামূলক বেশি মহিলারা থানায় আসছেন। আমাদের কাছেও প্রচুর অভিযোগ আসছে। অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হচ্ছে। আগেও অপরাধ হত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে থানায় নথিভুক্ত হত না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই থানা শাসকদলের কুক্ষিগত ছিল।” নারী নির্যাতন রুখতে আইনের সংশোধন আশু প্রয়োজন বলে মনে করেন সুনন্দাদেবী। তিনি বলেন, “বর্তমানে পুলিশ যে আইন নিয়ে কাজ করে তা ব্রিটিশ আমলে তৈরি। বর্তমানে পুলিশ যে পদ্ধতিতে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয় তাতে বিচার পেতে অনেক দেরি হচ্ছে। মহিলাদের উপর অত্যাচারে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য আইনের সংশোধন প্রয়োজন। আগের চেয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক উন্নত হয়েছে। ওই সব পদ্ধতি প্রয়োগ প্রয়োজন।” সুনন্দাদেবী জানান, নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রুখতে মহিলা কমিশনের তরফে জেলায়-জেলায় সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের ১৭টি জেলায় এই শিবির করা হয়েছে। নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করতে না পারলে শিশু মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব নয় বলে জাননা সুনন্দাদেবী। |
পূর্বের পরিসংখ্যান |
সাল |
ধর্ষণ |
ধর্ষণের চেষ্টা |
২০১০ |
৫১ |
১৩ |
২০১১ |
৬৫ |
২২ |
২০১২ |
৮১ |
৪৩ |
সূত্র মহিলা কমিশন |
|
|
|
|
|
|