প্রথম ম্যাচেই জয় এল। সন্তোষ ট্রফির শেষ আটেও পৌঁছে গেল বাংলা। কিন্তু দীপেন্দুদের পারফরম্যান্সে একেবারেই সন্তুষ্ট নন কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য!
ম্যাচের শুরু থেকেই নড়বড় করছিল বাংলা। দিল্লির মতো সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হল পঁচাশি মিনিট। পুরো দলের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব এতটাই বেশি ছিল যে, দিল্লি এই ম্যাচটা জিতে গেলে অবাক হওয়ার ছিল না। তবে এর জন্য সরাসরি ফুটবলারদের দোষারোপ করতে রাজি নন মনোরঞ্জন বা সহকারী কোচ সত্যজিত চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের যুক্তি ১) অনুশীলনে সবাইকে সব সময় একসঙ্গে পাওয়া যায়নি, ২) কোনও প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি, ৩) বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য আবাসিক শিবিরের ব্যবস্থা করা যায়নি, ৪) হঠাৎ করে কলকাতার ঠান্ডা থেকে কেরলের গরমে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দীপেন্দুরা।
নানা সমস্যার মধ্য দিয়েই প্রতি বছর বাংলার সন্তোষ ট্রফি দল করা হয়। আর সেই দল নিয়েই লড়াই চালাতে হয় কোচেদের। রবিবার কোচিতে বাংলার ফুটবলের করুণ ছবিটা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। রক্ষণ থেকে মাঝমাঠ, ফরোয়ার্ড সবেতেই হতশ্রী দশা। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝমাঠের ফুটবলারদের প্রায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ওপর গোলের সহজ সুযোগও নষ্ট করেছেন দীপেন্দুরা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পরিবর্ত হিসেবে নামা নবীন হেলা যদি গোল না করতেন, তবে বাংলার সমস্যার জাল আরও জটিল হতে পারত।
মনোরঞ্জন কোচি থেকে ফোনে বললেন, “আজ সত্যিই খুব খারাপ খেলেছে আমার ছেলেরা। তবে এই ম্যাচটা জিতে যাওয়ায় ওরা আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেল। পরের ম্যাচগুলোতে আর এ ধরনের সমস্যা হবে না মনে হয়।” বাংলার পরের ম্যাচ রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। যেটা অন্তত ড্র করতেই হবে। নয়তো বাংলার গ্রুপ শীর্ষে থাকা হবে না। সে ক্ষেত্রে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে অর্ণব, দীপকদের যেতে হবে কুইলন। কোচি থেকে প্রায় চার ঘণ্টার পথ। এই সমস্যা এড়াতে মরিয়া বাংলা। অধিনায়ক দীপেন্দু বলছিলেন, “পরের ম্যাচ থেকে আরও অনেক ভাল খেলতে হবে। নয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে সমস্যায় পড়ব।” |
বাংলা: অর্ণব, বাপি, গৌর, সাগ্রাম, দীপক, অভিষেক, জগন্নাথ, মোক্তার (ফ্রান্সিস), স্নেহাশিস, দীপেন্দু (গোপাল), অঞ্জন (নবীন)। |