বৃষ্টিতে উরস উৎসবের ছন্দপতন
রস উৎসবে মেতেছে মেদিনীপুর। প্রথা মেনে বাংলাদেশ থেকে বহু তীর্থযাত্রী এসেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষজন। শহরের জোড়া মসজিদ এলাকায় মেলা বসেছে। শনিবার সকালে মেদিনীপুরে এসে পৌঁছয় বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন। স্টেশনেই ওপার বাংলার মানুষকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিশেষ ট্রেনে করে বাংলাদেশ থেকে এ বার মোট ১৯০৪ জন এসেছেন। এর মধ্যে ১০৭৫ জন পুরুষ, ৭৬২ জন মহিলা এবং ৬৭ জন শিশু। গত বছর এসেছিলেন ১৮৬৫ জন। রবিবার রাতে ট্রেনটি ফের বাংলাদেশ রওনা দেয়।
ফাঁকা মেলা প্রাঙ্গণ।—নিজস্ব চিত্র।
উরস উৎসব ঘিরে প্রতি বছরই উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দেয় মেদিনীপুরে। এ বারও সেই একই ছবি। সুফি সাধকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ শহরে জড়ো হন। জোড়া মসজিদে প্রতি বছর দিনটি পালন করা হয়। এলাকায় মেলা বসে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে ভিড় করেন। শনিবার সকাল থেকেই মেলায় ভিড় জমেছিল। তবে রবিবার দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় মেলা চত্বরে জল দাঁড়িয়ে যায়। ফলে, এ দিন মেলা ভাল জমেনি।
উরস উপলক্ষে সেই ১৯০২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন আসে মেদিনীপুরে। উরস যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের উদ্যোগে এই ট্রেন চলাচল করে। ওপার বাংলার বহু মানুষ এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। শুধু ওপার বাংলাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ উৎসবে যোগ দেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। এলাকায় বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। শহরবাসীর বক্তব্য, বাংলাদেশের প্রতি বরাবর এ দেশের আলাদা একটা টান রয়েছে। ওপার বাংলার সঙ্গে এপার বাংলারও একটা আত্মিক যোগ রয়েছে। এই উৎসব যেন তারই যোগসূত্র। যেখানে দুই বাংলার মানুষ একত্র হন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.