মাদক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল রেলপুলিশ। ডাউন জগন্নাথ এক্সপ্রেস থেকে বলদেব মণ্ডল এবং রূপলাল মণ্ডল নামে এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার জাগাডি গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি মোবাইল। জিআরপির ওসি (খড়্গপুর) আশিস রায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে কার কার যোগাযোগ রয়েছে, তদন্তে তা দেখা হচ্ছে।
ট্রেনের মধ্যে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠের ঘটনা নতুন নয়। মেদিনীপুর-হাওড়া, পুরী-হাওড়া, খড়্গপুর-আদ্রা প্রভৃতি রুটে একাধিক দুষ্টচক্র এই কাজ করে। প্রথমে তারা যাত্রাদের সঙ্গে আলাপ করে। পরে তাঁদেরকে মাদক মেশানো খাবার খেতে দেয়। তা খেয়ে যাত্রীরা বেহুঁশ হয়ে পড়লে তাঁদের জিনিস লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্টচক্রের লোকেরা।
|
নিষেধ উড়িয়ে পুকুরে বিসর্জন |
পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে কোনও পুজোতেই তা মানা হয় না। দুর্গা, কালী অধিকাংশ প্রতিমাই পুকুরে ভাসানো হয়। এ বার সরস্বতীর ক্ষেত্রেও সেই এক ছবি দেখা গেল। পুরসভার নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই মেদিনীপুর-খড়্গপুর দুই শহরের বেশ কয়েকটি পুকুরেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেল থেকেই শুরু হয় সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জন-পর্ব। এ দিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার ছিল। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে, যে সব ক্লাব কাঁসাই নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের পরিকল্পনা করেছিল, তার মধ্যে কয়েকটি ক্লাবও পাড়ার পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে। মেদিনীপুর শহরের বক্সীবাজার, মল্লিকচক থেকে শুরু করে খড়্গপুর শহরের ইন্দা, সুভাষপল্লি এলাকার পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। ফলে জলদূষণেরও আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এলাকার পুকুরের জল অনেকেই নানা কাজে ব্যবহার করেন। দুই শহরের পুরসভা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, দূষণ এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব পুকুর পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে। যে সব সরঞ্জাম পুকুরে পড়ে রয়েছে, তা সরানো হবে।
|
তফশিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য রবিবার এক ছাত্রাবাসের উদ্বোধন হল পিংলার বড়াই হাইস্কুলে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, সহ-সভাধিপতি নমিতা দে, বিরোধী দলনেতা অরুণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সৌজন্যের ছবিই দেখা গিয়েছে। সিপিএম সভাধিপতির সঙ্গে একই মঞ্চ থেকে উন্নয়নের কথা বলেন বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের অরুণবাবু।
|
বালিচক সাহিত্য সংসদের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন হল রবিবার। এই উপলক্ষে ডেবরার সমবায় হলে এক সাহিত্যসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ১০০ জন কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন। চার জন কবি ও সাহিত্যিককে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। কবি বীরূপাক্ষ পণ্ডা, তরুণ গোস্বামী, প্রাবন্ধিক নারায়ণ সামাট ও গল্পকার কাশীনাথ সাহাকে সম্মান জানানো হয়।
|
ডেবরার রাধামোহনপুর শ্যামকৃষ্ণ মিলন মন্দিরের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন করা হল নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। শনিবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয়। পরে যেমন খুশি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, আলোচনা সভার আয়োজনও। |