আদি কল্যাণেশ্বরী মেলা শুরু হল রানিগঞ্জের তিরাট গ্রামে। রবিবার পুজোর পরে পঙ্ক্তিভোজনের মাধ্যমে এই মেলা শুরু হয়। সন্ধ্যায় ছিল পালা কীর্তন। পাঁচ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে থাকছে যাত্রা, লোক উৎসব, বাউল গানের আয়োজন। শুধু স্থানীয় শিল্পীরাই নন, কলকাতা এবং অন্যান্য জেলা থেকেও শিল্পীরা আসেন এই মেলায়।
খনি ও শিল্পাঞ্চলে এই মন্দির নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে যে, প্রায় চারশো বছর আগে সংলগ্ন দামালিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি মাইথনের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। তিরাট গ্রামে এসে ক্লান্ত হয়ে তিনি একটি গাছের তলায় ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর তিনি স্বপ্ন দেখেন, দেবী তাঁকে বলছেন, সামনের গাছের নিচে উইয়ের ঢিপির মধ্যেই তিনি রয়েছেন। ওখানে পুজো দিলেই চলবে। গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা তথা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সরোজাক্ষ মুখোপাধ্যায় জানান, এর পর থেকে ওই ঢিপি আদি কল্যাণেশ্বরী হিসাবে পূজিত হয়ে আসছে। |
আদি কল্যাণেশ্বরী মন্দির। —নিজস্ব চিত্র। |
মেলা কমিটির সম্পাদক আশিস গড়াই জানান, আশির দশকে কোলিয়ারির তৎকালীন ম্যানেজার অজয় রায় ওই উঁইঢিপিকে ঘিরে একটি মন্দির করে তৈরি করে দেন। সে বছর থেকেই নতুন মন্দিরে শুক্লা পঞ্চমীর এক দিন পর মাকুড়ী সংক্রান্তের দিন থেকে তিন দিনের মেলা শুরু হয়। এই মেলা এখন পাঁচ দিনে পরিণত হয়েছে। তবে অজয়বাবুর তৈরি করা মন্দির পরবর্তী কালে ইসিএলের সহায়তায় অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। বেড়েছে মেলার বিস্তারও। মেলার পাঁচ দিন ধরেই সকলের জন্য পংক্তিভোজের আয়োজন করা হয়। তিরাটের শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বা বাঁকুড়ার আশিস দাঁ-রা জানান, এই পাঁচ দিন একসঙ্গে আনন্দে খাওয়া, গল্পগুজব করার সুযোগ মেলে। |