পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানার পণ্ডিতপুরের কাছে, দুবরাজুপর-বক্রেশ্বর রাস্তায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অরুণ বাউড়ি (৪৪)। তাঁর বাড়ি দুবরাজপুর পুর এলাকার চার নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বক্রেশ্বর থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন অরুণবাবু। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ফেরার সময় হয় কোনও গাড়ি তাঁর গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল, অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে মরাত্মক জখম হয়েছিলেন তিনি। মানুষের নজর এড়িয়ে সকাল পর্যন্ত ওই ভাবে পড়ে থাকার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান অরুণবাবু। অন্য দিকে, গত শুক্রবার বিকালে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, রামপুরহাটের বাটাইল মোড়ে একটি দুর্ঘটনায় চার জন জখম হয়েছেন। নলহাটি থেকে রামপুরহাটগামী গাড়ির সঙ্গে একটি বেআইনি মোটর চালিত রিকশাভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত তিন জন ভ্যান যাত্রী-সহ ভ্যান চালককে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তার এক মামাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিনয় মাল। শনিবার রাতে তাকে নলহাটির একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নলহাটি থানা এলাকার একটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, গ্রামের একটি সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ থেকে পাপড় খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে মাঠের দিকে নিয়ে গিয়ে বছর সাতের ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। পরে পুলিশ ওই ধর্ষণের অভিযোগে বিনয়কে গ্রেফতার করে। রামপুরহাট হাসপাতালে মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকেদের অনুমান, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
|
আপ চেন্নাই-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যান থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি যাওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল আরপিএফ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে রামপুরহাট থানার কুতুবপুর থেকে তিনকড়ি বেসরাকে গ্রেফতার করা হয়। আরপিএফ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মল্লারপুর ও তারাপীঠ রোডের মাঝে চলন্ত ট্রেনে ওই চুরি হয়েছিল। চোরেরা পার্সেল ভ্যানের তালা ভেঙে চুরি করে ট্রেন থামিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামেন আরপিএফ হেডকোয়ার্টারের (কলকাতা) সিআইডি ইন্সপেক্টর রাকেশকুমার মিশ্র। তারপরে শুক্রবার রাতে ধরা পড়ে তিনকড়ি। রাকেশবাবুর দাবি, “এই ঘটনায় আরও কয়েকজনও জড়িত। তাদেরও শীঘ্রই ধরে ফেলা হবে।” শনিবার বোলপুর এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে তিনদিন আরপিএফের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
নির্বিঘ্নে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। গত শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেছেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। গঙ্গেশ্বরবাবু বলেন, “ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় মাওবাদীদের গতিবিধি থাকায় সেখানে বারো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বিঘ্নে ভোট করতে সমস্ত রকম পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” নির্বাচনে পুলিশ-প্রশাসন কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানাতেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন আইজি। তার আগে তিনি পুলিশকর্তাদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ডিআইজি তাপসরঞ্জন ঘোষ, জেলার পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা, রামপুরহাট মহকুমার সমস্ত থানার ওসি। এ ছাড়া ঝাড়খণ্ডের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
|
অস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল আউশগ্রাম থানার পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ছোটা শুকুর নামে ওই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। ধৃতের বাড়ি বোলপুরের মুলুকে। পুলিশের দাবি, ধৃতের থেকে গুলিভরা দেশি ছ’ঘড়া রিভলভার উদ্ধার হয়েছে। বর্ধমানের এসপি বলেন, “ছোটা শুকুরকে অন্তত সাতটি মামলায় খুঁজছে বীরভূম জেলার পুলিশ।” রবিবার ধৃতের সাতদিন জেল হাজত হয়েছে। |