তোলা না পাওয়ায় এক সিটু নেতা তথা পরিবহণ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরে এই ঘটনায় অভিযুক্তেরা তৃণমূলের এক বরো চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলরের অনুগামী বলে পরিচিত। হামলায় অভিযুক্তেরা অসীম দাস নামে ওই সিটু নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অফিসে হামলার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দুর্গাপুরের বি-জোনের মহিষ্কাপুর রোডের বাসিন্দা অসীম দাস সিটু অনুমোদিত ‘জেলা ট্যাক্সি অ্যান্ড ট্রেকার এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’-এর দুর্গাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং সিপিএমের পার্টি সদস্য। বেনাচিতিতে তাঁর পরিবহণের ব্যবসা। শুক্রবার তাঁর দাদা অলোক দাস অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাচিতির ভিড়িঙ্গি মোড়ের কাছে চার-পাঁচ জন তাঁর ভাইকে রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। কেড়ে নেয় মোবাইল ও টাকা। লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালায়। অসীমবাবুকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার তিনি ছাড়া পান। |
অলোকবাবুর অভিযোগ, “হামলাকারীরা ভাইকে বলে, ব্যবসা করতে গেলে টাকা দিতে হবে। না হলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।” অসীমবাবুর অভিযোগ, “ওরা তৃণমূলের ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিমাই গড়াইয়ের লোক। ভিড়িঙ্গি মোড়ের কাছে তৃণমূল অফিসে নিমাইবাবুর সঙ্গে তাদের দেখা যায়। এক জন আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।” দুর্গাপুরের সিটু নেতা তথা প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তীর অভিযোগ, “সর্বত্রই সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
তৃণমূল কাউন্সিলর নিমাইবাবু তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানেননি। তাঁর পাল্টা দাবি, “ওই ব্যক্তি পানশালায় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে শুনেছি। দলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়।” তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। অসীমবাবু বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে পানশালায় ঢুকি। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে।” |