সরস্বতী পুজোর আয়োজন না-হওয়ায় পড়ুয়াদের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। বাসিন্দারা জানান, ছাত্র ছাত্রীরা এ দিন সকালে অঞ্জলি দিতে গিয়ে দেখে স্কুল বন্ধ। সরস্বতী পুজো হচ্ছে না। মন খারাপ করে ওরা বাড়ি ফিরে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তর দিনাজপুরের স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) দীপেন্দু মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কেন স্কুলে পুজোর আয়োজন হয়নি সেটা জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।”
১৯৬৭ সালে স্কুল স্থাপন হওয়ার পর থেকে সরস্বতী পুজো হয়ে আসছে। এ বার যে পুজো হবে না সেটাও জানানো হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বড়ুয়া বলেন, “স্কুলের ছাত্র ছিলাম। প্রতি বছর পুজো হয়েছে। এবারই প্রথম অন্য স্কুলে পুজো মন্ডপে ছাত্রছাত্রীদের গিয়ে অঞ্জলি দিতে হল। কেন পুজোর আয়োজন হয়নি সেটা না জানানো পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিশির মল্লিক বলেন, “স্কুলে সরস্বতী পুজোর জন্য সরকার থেকে টাকা পাওয়া যায় না। ছাত্র ছাত্রীদের থেকে চাঁদা আদায়ের নিয়ম নেই। তাই পুজোর আয়োজন সম্ভব হয়নি।” অভিযোগ, প্রধানশিক্ষক একা সিদ্ধান্ত নিয়ে পুজো বন্ধ রেখেছেন। সহ শিক্ষকদের কেউ তা জানতেন না। ওই কারণে এ দিন স্কুলে গিয়ে তাঁরাও ফিরে চলে যেতে বাধ্য হন। শিক্ষক রাম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধারণা ছিল পুজো হবে। স্কুলে গিয়ে জানতে পারি পুজো হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক জানালে আয়োজন করতে পারতাম।” |