দয়াল নামে অসমের বাসিন্দা এক কেএলও জঙ্গি ‘এইচ-কে ৩৩’ রাইফেল, ৩০০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও চারটি গ্রেনেড ধৃত জঙ্গি প্রদীপ রায় ওরফে রঘুকে রাখতে দিয়েছিল। প্রদীপ তা কুমারগ্রামের পাখরিগুড়ি এলাকার বাঁশ বাগানে লুকিয়ে রাখে। ধৃত জঙ্গিকে জেরা করে ওই তথ্য জেনেছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কিন্তু ওই অস্ত্রগুলি কোথায় হামলার জন্য আনা হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ধৃত জঙ্গিকে জেরা করে সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা চলছে। বেশকিছু সূত্র মিলেছে।” গোয়েন্দারা জেনেছেন, অত্মসমর্পণের পরে যে সমস্ত জঙ্গিরা ফের আত্মগোপন করেছে টাকার বিনিময় কাজ করছে। ইতিমধ্যে মায়ানমারে দুটি দলের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে অসম থেকে ২০ জনের একটি নতুন দলকে মায়নমারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে কেএলও শিবিরে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কোচবিহারের বক্সিরহাটে ধরা পড়ে উত্তম বর্মন নামে এক কেএলও জঙ্গি। উত্তমের সঙ্গে দয়াল নামে এক জঙ্গি ছিল। সে পালিয়ে যায়। দয়ালের আসল নাম পুলিশ এখনও জানতে পারেনি। প্রদীপও বলতে পারছে না। সোমবার বিকেলে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ধরা পড়ে প্রদীপ। দয়াল পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিন আগে ওকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি রাখতে দেয়। প্রদীপ সেগুলি পাখরিগুড়ি এলাকার বাঁশ বাগানে লুকিয়ে রাখে।
প্রদীপের কাছ থেকে যে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটা দয়াল দেয় এনজেপি স্টেশনে এক ব্যক্তির হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে। ঠিক ছিল স্টেশনে পৌঁছনোর পর অসমের এক কেএলও নেতা ফোন করে কার হাতে টাকা তুলে দিতে হবে সেটা জানাবে। কাকে এবং কেন ওই টাকা দেওয়া হবে সেই বিষয়ে প্রদীপকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। এনজেপি যাওয়ার আগে প্রদীপ কামাক্ষাগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আত্মগোপন করে। সেখানেই ধরা পড়ে। |