চেয়ারম্যানের পদ থেকে নান্টু পালের অপসারণকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছে-ই। তাতে শিলিগুড়ি পুর বোর্ডে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে নান্টু পালের অপসারণের পর দলীয় অবস্থান কী হবে তা নিয়ে শুক্রবার দলের কাউন্সিলরদের বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বলেই জানান। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দলের সব কাউন্সিলরদের নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা অবস্থান স্পষ্ট করবেন। গত সেপ্টেম্বরে নান্টুবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তার পরেই চেয়ারম্যানের পদ থেকে নান্টুবাবুকে অপসারণের দাবি ওঠে। বাম কাউন্সিলরদের তরফে অনাস্থা পেশ করে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানানো হয়। অধিবেশন ডাকা না হলে বোর্ড মিটিং বয়কট শুরু করেন বাম কাউন্সিলররা। দলত্যাগী চেয়ারম্যানের উপসারণের দাবিতে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার অধিবেশন ডাকা হয়। সেখানে গোপন ব্যালটে ভোটাভুটিতে নান্টুবাবু চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসৃত হন। বামের পাশাপাশি কংগ্রেসের কাউন্সিলররা নান্টু পালের অপসারণের পক্ষে ছিলেন। তা নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বন্দ্ব বাঁধে। মন্ত্রী জানিয়ে দেন কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। এটাতারা মেনে নেবেন না। মেয়রের কাজকর্ম নিয়েও সরব হন গৌতমবাবু। কংগ্রেস জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারও জানান, দলত্যাগী নান্টুবাবুর বিরুদ্ধে যথার্থ ভাবেই সরব হয়েছেন কাউন্সিলররা। কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে দোষারোপ করা হচ্ছে। পছন্দ না হলে তৃণমূল কেন জোটে রয়েছে?
এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর পাল্টা জবাব, “আমরা নীতির প্রশ্নে ঠিক রয়েছি। কংগ্রেস বামেদের হাত ধরে প্রথমে পুরসভার বোর্ড গড়েছিল। পরে বামেদের সংস্রব ছেড়ে এলে তবেই আমাদের সঙ্গে জোট হয়েছে। ফের তারা রামধনু জোট তৈরি করার চেষ্টা চালাছে। কংগ্রেসের পথ খোলা আছে। চাইলে বোর্ড থেকে বেরিয়ে যেতে পারে তারা।” তিনি জানান, বোর্ড ভাঙলও তারা রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিলিগুড়ির উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। |