১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মোট বরাদ্দের নূন্যতম ৬০ শতাংশ শ্রমিকদের মজুরিতে খরচ করার শর্ত রাখা হয়েছে। বাসিন্দাদের বেশি কাজ দেওয়ার শর্তই উপেক্ষিত থাকল পঞ্চায়েত, ব্লকে সাফল্য নির্ধারণের প্রশাসনিক মাপকাঠিতে। জলপাইগুড়ি জেলায় একশো দিনের প্রকল্পে তিনটি মহকুমা ভিত্তিক সাফল্য ঘোষণা করা হয়েছে। মাপকাঠিতে কত দিন কাজ হয়েছে, প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে, কত মহিলা কাজ পেয়েছেন ও কতগুলি পরিবারকে গড়ে ২০ দিনের বেশি কাজ দেওয়া হয়েছেএই চারটি শর্ত বিচার করা হয়েছে। যদিও এই প্রকল্পের আইনের অন্যতম শর্ত কত বেশি টাকা শ্রমিকদের মজুরি দিতে খরচ হয়েছে। সেই শর্ত রাখা হয়নি বলে অভিযোগ।
মজুরিতে ৬০ শতাংশ ও বালি পাথর বা অন্য উপকরণের সরবরাহ সহ প্রশাসনিক কাজে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ খরচ করতে হয়। প্রশাসনিক মতে বিভিন্ন উপকরণ সরবারহ বা প্রশাসনিক ব্যয়ে বেশি টাকা খরচ করা হলে, দুর্নীতির আশঙ্কা থাকে। সর্বোপরী প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য বেশি সংখ্যক গরিব মানুষদের যাতে মজুরি দেওয়া যায় তার জন্যই এই রক্ষাকবচ। সে কারণেই জেলা প্রশাসনের তৈরি করা মাপকাঠিতে এই শর্তের উল্লেখ্য না থাকায় বির্তক দানা বেধেছে। জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “এটা সার্বিক মূল্যায়ন নয়। বিভিন্ন ব্লককে উৎসাহ দিতেই এই মাপকাঠি তৈরি করা হয়েছে।”
আইন অনুযায়ী যে ব্লক বা গ্রাম পঞ্চায়েত নুন্যতম মজুরির শর্ত মানবে না তাদের প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। সাধারণত বছরের শেষে এই গড় হিসেব করা হয়। বর্ষার সময়ে কাজ করতে গেলে মাটি কাটা সম্ভব হয় না। তাই এই গড় বেড়ে যায়।”
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহন বসু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সব মানুষের কাজের অধিকারের আইনটি তৈরি করে যাতে রূপায়ণ সঠিক হয় সে কারণেই এই শর্ত দিয়েছিল। সেটি মেনে চলা জরুরি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “গরিব যাতে বেশি করে কাজ পান তাতে সরকার জোর দিচ্ছে, সে কারণেই গত দেড় বছরে রাজ্যে বেশি দিন কাজ হয়েছে। প্রশসানকেও বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।” |