ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়দের সংস্থা (আইটিপিএ) গঠিত হওয়ার ছিয়ানব্বই ঘণ্টা পর তা নিয়ে মুখ খুললেন সংস্থার সচিব মহেশ ভূপতি। এবং সেখানে ফের ইঙ্গিত, ফেডারেশনের সঙ্গে সদ্যোজাত প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংঘাতের।
কারণ, এআইটিএ সিইও-র ক’দিন আগে করা মন্তব্য, “প্লেয়ারদের সংস্থার মূল উদ্দেশ্য এবং কার্যকলাপ সম্পর্কে ওরা যতক্ষণ না পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে বা আমরা (এআইটিএ) যতক্ষণ না পর্যন্ত সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত প্লেয়ারদের সংস্থাকে ফেডারেশনের থেকে অনুমোদন দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই” প্রসঙ্গে মহেশ পাল্টা জবাব দিচ্ছেন, “ঠিক যে সময় আমরা মনে করব যে, ফেডারেশনকে আমাদের থেকে এই সব ব্যাপারে জানানো দরকার, ঠিক সেই সময়ই সব জানানো হবে তাদের।” দোহায় ব্যবসায়িক কাজে গিয়ে মহেশ সেখানে মিডিয়াকে বরং জোর দিয়ে বলেছেন, “আমাদের নতুন সংস্থা প্লেয়ারদের স্বার্থ রক্ষার্থে।”
যদিও দোহাতেই টুর্নামেন্ট খেলার ফাঁকে সানিয়া মির্জা সেখানে বলেছেন, “ভারতীয় টেনিস প্লেয়ারদের সংস্থা গঠন করা নিয়ে আমার কোনও ধারণাই নেই। যতটুকু জেনেছি সবটাই কাগজে পড়ে। আমার কাছে ওই সংস্থার থেকে কোনও আমন্ত্রণও আসেনি সদস্য হওয়ার জন্য। আমি নিজেও এখনও পর্যন্ত ভাবিনি ওই সংস্থার সদস্য হব কি না।” লিয়েন্ডার পেজ-ও এক এসএমএস বার্তায় জানাচ্ছেন, তিনি মহেশদের নতুন সংস্থা থেকে কোনও আমন্ত্রণ পাননি ওই সংস্থার সদস্য হওয়ার জন্য।
আইটিপিএ ভারতের উঠতি প্রতিভাবান তরুণ টেনিস প্লেয়ারদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে অর্থ তহবিল গড়ার জন্য দেশের বিভিন্ন শহরে আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্টের আয়োজন করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন মহেশ। “আমি তো মনে করতে পারছি না যে, শেষ আমাদের দেশে কবে চ্যালেঞ্জার টুর্নামেন্ট হয়েছে বলে! অথচ আমাদের দেশে পাঁচশো এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের আশপাশে অনেক প্লেয়ার আছে। যাদের ঠিক এই অবস্থায় যত বেশি সম্ভব চ্যালেঞ্জারে খেলে বিশ্ব র্যাঙ্কিং দেড়শোর মধ্যে ওঠানোর কথা। তার পরে সেখান থেকে বিশ্বমানের মঞ্চে উত্থান ঘটানোর পালা। এ জন্য ভারতে বছরে অন্তত ছ’টা চ্যালেঞ্জার হওয়া দরকার। ঘরের কোর্টে খেলার সুযোগ নিয়ে যাতে প্লেয়াররা নিজেদের র্য্যাঙ্কিং তুলতে পারে,” বলেছেন তিনি। মহেশের সাফ কথা, তাঁদের সংস্থার ফেডারেশনের থেকে অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো নেই। “আমাদের প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা কয়েক মাসের মধ্যেই হবে। তখন আমাদের পুরো কমিটি ও তার কাজের উদ্দেশ্য সবাই জানবে।” |