উপরের দিকে নয়, ব্যাটিং অর্ডারের নীচের দিকে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলতে চান সুরেশ রায়না।
কোনও প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানের পক্ষে এটা বেশ অদ্ভুত বলে মনে হলেও রায়না কিন্তু ব্যাপারটাকে মোটেই তাঁর পক্ষে বেমানান বলে মনে করেন না।
বরং ধারণা, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বা টেস্টে শেষ দিকে নেমেই দলের পক্ষে বেশি উপযোগী হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি ওয়ান ডে-র মধ্যে চারটি হাফসেঞ্চুরি করার পর নির্বাচকরা রায়নাকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট ক্রিকেটের দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দিতে ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতীয় দলে জায়গা দেন। ওয়াংখেড়েতে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৩৪ ও ৭১ রানও করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রথম দুই টেস্টের দলে জায়গা জোটেনি রায়নার।
তিনি অবশ্য টেস্ট দলে জায়গা পাকা করার জন্য নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন। ভারতীয় দলের ব্যাটিং অর্ডারে ছ’নম্বর জায়গাটাই তাঁর লক্ষ্য। ২০০৮-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সরে যাওয়ার পর যুবরাজ, বদ্রিনাথরা চেষ্টা করলেও এই জায়গাটায় কেউ নিজেদের পাকাপাকি ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি এখনও। ইদানীং অজিঙ্ক রাহানে ও রবীন্দ্র জাডেজারা সুযোগ পেলেও তাঁরাও যে নির্বাচকদের পাসমার্ক পেয়ে বসে আছেন, তাৃও নয়। এই ব্যাপারে রায়নার মন্তব্য, “ওয়ান ডে-তে ছ’নম্বরে ব্যাট করে অনেক উপকার পেয়েছি। ধোনি, যুবরাজদের কাছ থেকে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতিও শিখেছি।”
ব্যাটিং অর্ডারের শেষ দিকে নামা মানে যে কোনও রকমে বোলারদের ঠেকিয়ে রেখে সময় কাটানো নয়, বরং নিয়মিত রান করে ইনিংসকে আরও বড় করা এবং এটাও একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাজ, সেটাই রায়নাকে বোঝান ধোনি, যুবিরা। সচিন তেন্ডুলকরের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ইরানির ম্যাচে ২৩১-৩ অবস্থায় পাঁচ নম্বরে নেমে অবশিষ্ট ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৫১২ রানে পৌঁছে দেওয়ার পর আউট হয়ে রায়না বুঝিয়ে দেন, বিষয়টা বেশ ভাল ভাবে রপ্ত করেছেন তিনি। এই ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের বাঁ-হাতি তরুণ ব্যাটসম্যান বলেন, “শুধু রান করে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, টেলএন্ডারদের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করাটাও ছ’নম্বর ব্যাটসম্যানের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই কাজটাকেই ক্রমশ রপ্ত করার চেষ্টায় আছি আমি। ভারতীয় দলেও আমি ছ’নম্বরে নেমে প্রচুর রান করতে চাই। এখন এটাই আমার লক্ষ্য।”
|
শেষ ৫ টেস্টে |
১২ ও ১, ৪ ও ১০, ০ ও ০, ৩, ৫৫ ও ০। |
শেষ ৫ ওয়ান ডে-তে |
৩১, ৫০, ৫৫, ৮৯*, ৮৩। |
শেষ ৫ টি-টোয়েন্টিতে |
৪৫, ২৫, ৩৫*, ১০, ১*। |
|