|
আপনার স্বাস্থ্য... |
|
শীতে কাবু শিশু
শিলিগুড়িতে এখন অনেকেই ভুগছে।
প্রতিকার বলছেন ডা. সঞ্জয় চৌধুরী, শিলিগুড়ি |
|
|
এ বারের শীতে সব চেয়ে কাবু বাচ্চারা। কাবু অন্য কারণেও। ভাইরাল ডিজিজ এত বেশি হচ্ছে যে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি-জ্বর গা-হাত-পা ব্যথা এমনকী ডাইরিয়াও হচ্ছে। এটা ফেলে রাখা ঠিক নয়। তখুনি প্রয়োজনীয় ওষুধ না দিলে ভোগান্তি বাড়ায়। অনেকে নিজেরাই দোকান থেকে ওষুধপত্র কিনে এনে বাচ্চাদের খাওয়ান। সেটা উচিত নয়। এমনকী বাচ্চার অ্যান্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তো একজন ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই জরুরি। |
|
ছবি: বিশ্বরূপ বসাক |
কিন্তু ভাইরাল ডিজিজের লক্ষণ কী? ডা. চৌধুরীর মতে, ভাইরাল ডিজিজের লক্ষণ হল সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর (১০১-১০২)। কোনও কোনও বাচ্চার চোখ লাল হয়। কারও বা হাতে গায়ে পায়ে র্যাশ বেরোয়। সঙ্গে ব্যথাও। এটা সাধারণত তিন থেকে চার দিন থাকে। তবে কাশি থাকলে ডাক্তারকে জানিয়ে দেবেন। কারণ বাচ্চাদের কাশি কিন্তু নানা রকম অসুখের উপসর্গ। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক জরুরি। তিন মাসের নীচে বাচ্চারা মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে পারে না। সর্দিতে অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়। তখনই প্রয়োজন নাকে দেওয়ার ড্রপ।
এই ঋতুতে ডাইরিয়াও হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে? এটা এখন অনেকেরই হচ্ছে এমনই জানালেন ডা. চৌধুরী। কারও কারও বমিও হয়। তখনই নুন-চিনির জল খাওয়াবেন। অনেক বাচ্চা অ্যালার্জির কারণে সর্দি-কাশিতে ভোগে। বংশগত কারণে এই সমস্যা না থাকলে শুধুমাত্র ওষুধেই বাচ্চার সমস্যার সুরাহা হয়। কারও কারও পাঁচ-সাত বছর অ্যালার্জি থেকে যায়।
আগেকার থেকে এখনকার বাচ্চারা বেশি ভোগে কেন?
দূষণ তো বটেই, ধুলোবালি থেকেও নানা অসুখ-বিসুখ এখন বেশি ছড়াচ্ছে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম তো আছেই। ছোট থেকেই জাঙ্কফুড খেতে শিখে যায়। ডা. চৌধুরীর অভিমত, বাড়িতে বানিয়ে খাওয়ান। বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
|
সাক্ষাৎকার: বিপ্লবকুমার ঘোষ |
|