|
|
|
|
নামনি অসমে গুলি বিএসএফের, হত ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও ধুবুরি |
পঞ্চায়েতের ভোট গণনার দ্বিতীয় দিনে ফের অশান্ত হয়ে উঠল নামনি অসম। ধুবুরির মানকাচরে চলল গুলি। গ্রামবাসী ও বিএসএফ-এর সংঘর্ষে অন্তত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, ভোট পরাজয় সইতে না পেরে কামরূপের শুয়ালকুচিতে এক প্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সব মিলিয়ে সন্ধ্যা অবধি আসা খবরে, পঞ্চায়েত ভোটে ১৭৩টি জেলা পরিষদ আসনে জিতে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ৬০টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এআইইউডিএফ।
আজ ভোট গণনা নিয়ে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর মহকুমার হাটশিঙিমারিতে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল। ভোটের দিন নামনি অসমে গুলি চলেছিল। তাই গণনার সময় বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয় গণনা কেন্দ্রে। পুলিশ জানায়, আইরকাটা জেলা পরিষদের অন্তর্গত ডিঙডিঙা-পারোয়া পঞ্চায়েতে সকাল ১০টা নাগাদ কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ সমর্থকদের মধ্যে প্রথম গন্ডগোল হয়। পোস্টাল ব্যালট পোলিং এজেন্টদের না দেখিয়েই কংগ্রেস প্রার্থীকে ২২ ভোটে জয়ী ঘোষণা করায় এআইইউডিএফ সদস্যরা প্রতিবাদ জানান। শুরু হয় হাতাহাতি। তা থামাতে পুলিশ প্রথমে লাঠি চালায়। পরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই সময় বিএসএফ জওয়ানরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের ‘বাংলাদেশি’ বলে অপমান করায় আগুনে ঘি পড়ে। জনরোষ গিয়ে পড়ে বিএসএফ-এর উপরে। পাথর বৃষ্টি হতে থাকে। জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশ ও জওয়ান। এর মধ্যে দুই বিএসএফ জওয়ানের আঘাত গুরুতর। এর পরেই বিএসএফ গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিন গ্রামবাসী। লাঠি, গুলি ও পাথরের ঘায়ে জখমের সংখ্যা প্রায় ৫০। এসডিও-র গাড়ি-সহ ১৩টি গাড়ি পোড়ানো বা ভাঙচুর করা হয়। এসডিও-র দফতরেও আগুন লাগানো হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দক্ষিণ শালমারা কেন্দ্রের সব ব্যালট পেপারই পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে যান ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সুরেন্দ্র কুমার, এসএসপি প্রদীপচন্দ্র সালোই। সালোই বলেন, “শালমারা-মানকাচরে ৯টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৫টির গণনা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সংঘর্ষের পরে সব কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে কার্ফু।”
অন্য দিকে, কামরূপের শুয়ালকুচিতে আঞ্চলিক সদস্যপদে হেরে গিয়ে আত্মঘাতী হলেন নির্দল প্রার্থী মিন্টু দাস। দুই নির্দল প্রার্থীর মধ্যে মোকব আলি ১৯১৫টি ভোট পান। মিন্টুবাবু পেয়েছিলেন ১৩০০ ভোট। ফল জেনে রাতে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। সকালে নিজের ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এ দিকে, ভোট গণনা তদারক করতে গিয়ে অগপ সমর্থকদের হাতে জখম হলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রিপুন বরা। তেজপুরের ছয়দুয়ার ভোটগণনা কেন্দ্রে তাঁর উপরে হামলা হয়। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি হাসপাতালে। |
|
|
|
|
|