|
|
|
|
বিমানবন্দর |
সিদ্ধান্ত পিছিয়ে পরিষেবা কর চালু হচ্ছে মার্চে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নতুন টার্মিনালের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে শনিবারই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া শুরু করছেন না বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ।
ঠিক হয়েছিল, আজ, শনিবার থেকে নতুন টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য টাকা নেওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে যাত্রী প্রতি ৪০০ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা ধার্য হয়েছে। কিন্তু নতুন টার্মিনালে তো এখনও পুরোদস্তুর কাজ চলছে। একটি উড়ানের যাত্রীও সেখান থেকে যাতায়াত করছেন না। ফলে এখনই নেওয়া হবে না ওই অতিরিক্ত টাকা। কলকাতায় এয়ারলাইন্স অপারেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সর্বেশ গুপ্ত শুক্রবার বলেন, “শনিবার বিমানবন্দরে পৌঁছে টিকিট কাটলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে। যাত্রী জানতে চাইলে বিমানসংস্থার কাউন্টারে বসা কর্মীকে বলতে হবে, নতুন টার্মিনালের জন্য এই টাকা। তবে যাত্রী যদি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি তো সেই সুবিধা পাচ্ছি না, তাহলে কেন
টাকা দেব?’ তখন কী উত্তর দেবেন সেই কর্মী?” |
নতুন পথে
|
বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালের জন্য এখনই চালু হচ্ছে না পরিষেবা-কর। |
এ সব কারণেই বেঁকে বসেছিল বিমানসংস্থাগুলি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের কাছে শনিবার থেকে ইউডিএফ চালুর নির্দেশ পেয়েই শুরু হয় অসন্তোষ। কারণ, কলকাতার যাত্রীরা নতুন টার্মিনালের সুবিধা না পেলে কেন অতিরিক্ত টাকা দেবেন। শুক্রবার সারা দিন ধরে এ কথা কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বিমানসংস্থার কর্তারা। ওই রাতে দিল্লি থেকে ফোনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবাল বলেন, “যাত্রীদের কথা ভেবেই আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ১ মার্চ থেকে ওই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে।” কর্তৃপক্ষের আশা, ১ মার্চের মধ্যে নতুন টার্মিনাল পুরোদস্তুর ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। যদিও তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিমানসংস্থাগুলি।
বেসরকারিকরণের পথে না হেঁটে চেন্নাই ও কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরি করেছে বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ। কলকাতায় খরচ হয়েছে ২৩৫০ কোটি টাকা। ঠিক হয়, বিশাল এই টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণে যে অতিরিক্ত টাকা বা ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি (ইউডিএফ) লাগবে, তা নেওয়া হবে যাত্রীদের থেকে। ঠিক যেমন দিল্লি-মুম্বই-বেঙ্গালুরুর মতো বেসরকারি বিমানবন্দরগুলি নিচ্ছে। গত ২০ জানুয়ারি নতুন টার্মিনালের উদ্বোধন হলেও পুরোপুরি চালু হওয়ার মতো সমস্ত পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি সেখানে।
এর মাঝেই সমস্ত বিমানসংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের নতুন টার্মিনালে চলে যেতে হবে। বেঁকে বসে বিমানসংস্থাগুলি। কর্তাদের অভিযোগ, “এখনও পরিকাঠামোই তৈরি হয়নি। কী করে নিয়মিত উড়ান চালাবো।” বিমানসংস্থা সূত্রের খবর, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের মালপত্র নজরদারি করার কথা, নতুন টার্মিনালে সেই ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। তা প্রস্তুত করে, পরীক্ষার পরেই নতুন টার্মিনালে যাওয়া সম্ভব। তার আগেই ১৬ তারিখ থেকে ইউডিএফ চালুর ঘোষণা করে দিয়ে কর্তৃপক্ষ বিমানসংস্থাগুলির উপরে চাপ বাড়াতে চাইছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের অবশ্য পাল্টা যুক্তি, বিমানসংস্থাগুলিই প্রস্তুত নয়। নতুন টার্মিনালে যাত্রীদের পরিষেবা দিতে বাইরের কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা। এখন তাই তাদের জন্যই দেরি হচ্ছে। |
|
|
|
|
|