|
|
|
|
দুর্নীতির নালিশ গৌড়বঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
আর্থিক দুর্নীতি ও ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে উপাচার্য অভিযুক্ত ফিনান্স অফিসার জাহির হোসেনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে (ফোর্সড লিভ) পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস বলেন, “ফিনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার অস্বচ্ছতা ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশের পাশাপাশি অভিযুক্ত ফিনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে ফিনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। সেই কারণে ফিনান্স অফিসারকে ৬ ফেব্রুয়ারি ফোর্সড লিভে পাঠানো হয়েছে।”
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতি ও ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেওয়ার ব্যাপারে ফিনান্স অফিসার জাহির হোসেন বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চান না। তিনি বলেন, “যা বলার তদন্তকারীদের বলব।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর কাছে মালদহের এক শিক্ষাবিদ লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার যে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তার বেশিরভাগই ভুয়ো। শুধু তাই নয়, ফিনান্স অফিসার ২০০৯ -২০১০ সালে বিকম পার্ট টু পাশ করার আগে ২০০৬ সালে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম পাস করেছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে গেল যে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার তার ধারে কাছে নেই ফিনান্স অফিসারের শিক্ষাগত যোগ্যতা।
অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের সহকারি সচিব গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে অভিযোগ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর উচ্চশিক্ষা দফতর চিঠি পাঠিয়ে ফিনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেন। সেই চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার চেপে রেখেছিলেন। দেড় মাস পর বিষয়টি জানার পর উপাচার্য ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারকে ডেকে সকলের সামনে তিরস্কার করেছিলেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২৮ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়রি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিনান্স অফিসারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ফিনান্স অফিসারের আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন লাটে উঠে যায়। |
|
|
|
|
|