রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় (আরএসবিওয়াই) কোনও রকম অস্বচ্ছতা বরদাস্ত করা হবে না বলে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করল প্রশাসন। অস্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ এলে তার তদন্ত হবে। নার্সিং হোম মালিকদের নিয়ে সোমবার মেদিনীপুরে আয়োজিত এক আলোচনা শিবিরে এভাবেই নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করল প্রশাসন। কালেক্টরেটের সভাঘরে অনুষ্ঠিত এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন ঘোষ, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী প্রমুখ। ছিলেন ৩৮টি নাসির্ং হোমের মালিক বা তাঁর প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবায় ছাড় মেলে। পশ্চিম মেদিনীপুরে এই যোজনার অন্তর্গত কার্ডের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ। পরিবার-পিছু পাঁচজন করে ধরলে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ এই পরিষেবায় সাহায্য পেতে পারেন। কিন্তু, জেলায় এই পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। যেমন, স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুফল মিলবে, জেলায় এমন ৩৮টি নার্সিং হোম রয়েছে। সরকারই এগুলোকে চিহ্নিত করেছে। এই ৩৮টি নার্সিং হোমে শয্যা সংখ্যা ৪৮০। অথচ, প্রকল্প অনুযায়ী আট হাজার জন উপভোক্তা পিছু একটি করে নার্সিং হোম থাকার কথা। একাংশ নার্সি হোম মালিকের অভিযোগ, এমন কিছু নার্সিং হোম রয়েছে, যেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। অথচ, তাদের প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আবার এমন কিছু নার্সিং হোম রয়েছে, যেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো আছে, তা সত্ত্বেও সেই নার্সিং হোমগুলিকে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।
জেলা প্রশাসন অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে, এমন ৩৮টি নার্সিং হোমকেই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, আরও কিছু নার্সিং হোম প্রকল্পের আওতায় আসতে চেয়ে আবেদন করেছে। প্রয়োজনে সেই সব নার্সিং হোমে ফের পরিদর্শন হবে। আলোচনা শিবির শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতেই এই শিবির। প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনও রকম অস্বচ্ছতার অভিযোগ এলে তার তদন্ত হবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হবে। শিবিরে নার্সিং হোম মালিকদের এ কথাও জানানো হয়েছে।” শিবিরে হাজির ছিলেন বিমা সংস্থার আধিকারিকেরাও। |