দেরিতে স্কুলে ঢুকছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। একদিন নয়, প্রায় দিনই এটা হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারই প্রতিবাদে সোমবার ‘দেরিতে আসা’ প্রধান শিক্ষক-সহ অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, স্কুলের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে প্রধান শিক্ষক-সহ ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে টানা তিন ঘন্টা আটকে রাখলেন তাঁরা। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের পাল্টা দাবি, স্থানীয় একটি ক্লাবের দাবি মতো সরস্বতী পুজোর চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ‘দেরিতে আসার’ অজুহাত দেখিয়ে স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে, এ দিন হেনস্থা তাঁদের করা হয়েছে। মুচলেকা দেওয়ার পরে দুপুর দু’টো নাগাদ স্কুলে ঢুকতে পারেন প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এর জেরে এ দিন পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। সমস্যাটি খাতড়া ব্লকের গোড়াবাড়ী হাইস্কুলে।
এই হাইস্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৫০। প্রধান শিক্ষক-সহ ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ২ জন পার্শ্বশিক্ষক এবং ৪ জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের পরে স্কুলে আসছেন। এ দিনও তাঁরা দেরিতে আসেন। অভিভাবক বিদ্যুৎ সাহু, জয়ন্ত সাহুদের অভিযোগ, “প্রায় দিনই অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে ঢুকছেন ১১টা নাগাদ। বিকেল ৪টের আগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষককে ইতিপূর্বে এ ব্যাপারে বলা হলেও উনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।” প্রধান শিক্ষক সুকুমার মিত্র অবশ্য বলেন, “আমরা সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিদিনই সঠিক সময়ে স্কুলে আসি।”
খাতড়ার বিডিও মৈত্রী চক্রবর্তী বলেন, “ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেরিতে আসছেন বলে অভিভাবকদের একাংশ অভিযোগ করছেন। আবার দাবি মতো চাঁদা না পেয়ে একটি ক্লাবের সদস্যরা এ সব করাচ্ছেন বলে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। কোনটা সত্যি তা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |