|
|
|
|
কঙ্কাল-কাণ্ড |
বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা সুশান্তর |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বেনাচাপড়া কঙ্কাল-কাণ্ডে সরকারের দায়ের করা মামলার বৈধতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি কনোয়ালজিৎ সিংহ অহলুওয়ালিয়া রাজ্যকে ওই মামলার কেস-ডায়েরি ও অন্য নথি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১১-র জুনে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের আদি বাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কেশপুরের পিয়াশালা গ্রামে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী যে সাত তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে খুন করেছিল, ওই দেহাবশেষ তাঁদেরই। হাড়গোড়ের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া পোশাক দেখে একটি দেহাবশেষ নিখোঁজ অজয় আচার্যের বলে দাবি করেন তাঁর ছেলে শ্যামল। পিয়াশালার অদূরে খেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল এর পরে সুশান্ত ঘোষ-সহ ৪০ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ৫৮ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়। এই মামলার সূত্রেই গ্রেফতার হন সুশান্তবাবু-সহ ২২ জন। সুশান্তবাবু জামিনে মুক্ত হন পরে। ছাড়া পান আরও ১৬ জন।
সুশান্তবাবুর পক্ষে আইনজীবী অসীমেশ গোস্বামী এ দিন হাইকোর্টে বলেন, “প্রয়াত অজয় আচার্যের ছেলে ঘটনার পরে এফআইআর করেছিলেন। সেখানে সুশান্তবাবু সম্পর্কে অভিযোগ করা হয়নি। সেই মামলার বিচার শেষ হয়ে রায় দেওয়া হয়েছে। আপিল-মামলা হয়নি।” সেই বিষয়কে নিয়ে আবার নতুন মামলা করা যায় কি না, এই প্রশ্ন তোলেন অসীমেশবাবু। আজ এই মামলারই শুনানি হবে।
কঙ্কাল-কাণ্ডের অভিযোগকারী শ্যামল আচার্য অবশ্য বলেন, “প্রমাণ লোপাট করার জন্যই তো দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। এখন মাটি খুঁড়লেই কঙ্কাল বেরোয়। বাবাকে যারা খুন করেছে, আমরা তাদের শাস্তি চাই।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতিও “আদালতের উপর আস্থা” আছে জানিয়ে দাবি করেন, “সুবিচার মিলবেই।” |
|
|
|
|
|