|
|
|
|
আবাসিক স্কুলে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, ব্যাহত পঠন-পাঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পেনশন-সহ নানা দাবিতে আবাসিক শিক্ষকদের একাংশের ধর্মঘটের জেরে ব্যাহত হল পূর্ব মেদিনীপুরের একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পঠনপাঠন। রবিবার থেকেই মহিষাদলের কাপাসএড়্যায় জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। তবে, সোমবার কর্মদিবসের প্রথম দিনে তার প্রভাব পড়ে বেশি। পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ খিলার বলেন, “এই ধরনের কর্মবিরতি আমি নিজে সমর্থন করি না। বিক্ষোভ করছেন না এমন স্থায়ী ও অস্থায়ী জনা দশেক শিক্ষকের সাহায্যে ক্লাস চালানোর চেষ্টা করছি।” |
|
কর্মবিরতি শিক্ষকদের।—নিজস্ব চিত্র। |
২০০৫ সালে চালু হওয়া কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ এই বিদ্যালয় নানা সমস্যায় ধুঁকছে। অন্য জেলার তুলনায় শিক্ষক সংখ্যা কম, হস্টেল নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আবাসিক এই বিদ্যালয়ে মোট ২১ জন শিক্ষক রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৪ জন বাদে প্রত্যেকেই স্থায়ী। এই স্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে ২০০৪ সালের আগে নিয়োজিত যাঁরা এমন ১০ জন ও দু’জন শিক্ষাকর্মী মিলে মোট ১২ জন পেনশন স্কিম, নির্দিষ্ট সময়সূচি, শিক্ষাকর্মী ভাতা-সহ ২১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। কর্মবিরতিতে সামিল শিক্ষকদের মুখপাত্র দীপঙ্কর মল্লিক জানান, “পড়ুয়াদের ক্ষতি হোক চাই না। তবে সরকার আমাদের না দেখলে স্কুলের পঠনপাঠনে ক্ষতি তো হবেই।
কেন্দ্রীয় সরকারি এই আবাসিক বিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে পড়ুয়া সংখ্যা দুশো। মার্চেই বার্ষিক পরীক্ষা। তার আগে শিক্ষকদের এই ধরনের কর্মবিরতিতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। কাঁথির দয়ালহরি দাস, হলদিয়ার আশিস বোয়ালদের কথায়, “এত দূরে ছেলেদের পাঠিয়েছি। পরীক্ষার মুখে এই সব চললে পড়াশোনা হবে কী করে?” |
|
|
|
|
|