নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জাতীয় শিবির এবং সন্তোষ ট্রফির ধাক্কায় পিছিয়ে যেতে পারে কলকাতা ডার্বি। স্থগিত হয়ে যেতে পারে ইউনাইটেড স্পোর্টসের সঙ্গে দুই প্রধানের ম্যাচও। ক্লাবগুলি রাজি হলে এপ্রিলের শুরুতে হতে পারে তিনটি ম্যাচই। আই এফ এ সূত্রের খবর, দু’একদিনের মধ্যেই আই লিগের তিন ক্লাবের সঙ্গে নতুন সূচি ঠিক করতে আলোচনায় বসবেন বাংলার ফুটবল কর্তারা।
আই এফ এ-র প্রকাশিত সূচিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। কিন্তু সন্দীপ নন্দী, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন, জুয়েল রাজা-সহ দু’টি টিমের আট ফুটবলার সোমবারই যোগ দিয়েছেন উইম কোভারম্যান্সের জাতীয় শিবিরে। পুণেতে এ এফ সি চ্যালেঞ্জার্স কাপের শিবির শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। তারকাদের বাদ দিয়ে যাদের নিয়ে ম্যাচ খেলতে পারত দুই প্রধান সেই ফুটবলারদের কয়েক জনকে আবার সন্তোষ ট্রফির বাংলা দলে নেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় ডার্বি ম্যাচ হলে ক্লাবগুলি অসুবিধায় পড়বে। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় ডার্বির জন্য শিবিরের ফুটবলারদের ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন ফেডারেশনকে। দিল্লি থেকে ফোনে এ দিন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বলে দেন, “উৎপলবাবু অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাকে জানিয়ে দিয়েছি এটা সম্ভব নয়। কোচ কিছুতেই খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি হবেন না। ইস্টবেঙ্গল, চার্চিলও তো আবার এ এফ সি কাপের জন্য ফুটবলার চাইছে।” |
পিছনোর সম্ভাব্য কারণ |
• ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ইউনাইটেডের ১৩ জন ফুটবলার জাতীয় শিবিরে।
• সন্তোষ ট্রফির টিমেও তিন দলের সাত জন ফুটবলার।
• ফেডারেশন ডার্বির জন্য কোনও ফুটবলার ছাড়তে রাজি নয়।
• আইএফএ চায় না বাংলার তারকা ফুটবলারদের বাদ দিয়ে কলকাতার ডার্বি হোক। |
|
ফেডারেশনের মনোভাব জেনে ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে আই এফ এ। সচিব উৎপলবাবু অবশ্য বললেন, “ক্লাবগুলি সমস্যায় পড়ুক চাই না। কারণ. এই ম্যাচটা তাদের সদস্য-সমর্থকরা অন্য চোখে দেখেন। ব্যক্তিগত ভাবে চাই দুই প্রধান পুরো দল নিয়ে ডার্বি খেলুক। ইউনাইটেডেরও সমস্যা আছে। তাদেরও ফুটবলার জাতীয় শিবিরে আছে। সন্তোষে সুযোগ পাবে। দেখি ক্লাবগুলি কী বলে?” জানা গিয়েছে, আইএফএ চাইছে না বাংলার ভূমিপুত্রদের বাদ দিয়ে শুধু বিদেশিদের নিয়ে দুই প্রধান ডার্বি খেলুক।
এ বছর দুটি ডার্বি হয়েছে। কোনওটিতেই সেই অর্থে ফয়সলা হয়নি। প্রথম ডার্বিতে ১-০ এগিয়ে থাকার সুবাদে ইস্টবেঙ্গল পুরো পয়েন্ট পেলেও সেটা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে। আর শনিবার দ্বিতীয় ডার্বি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবে। ফলে আই এফ এ কর্তাদের ধারণা, কলকাতা ডার্বি নিয়ে উত্তাল হবেন ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে সে জন্যই লিগের সব ম্যাচ শেষ করে তিনটি ম্যাচ আই এফ এ শিল্ডের পর করতে চায় আই এফ এ। শিল্ড শুরু হবে পয়লা মার্চ। আই এফ এ সচিব বললেন, “শিল্ডে বাইরের দল আসছে। সূচি বদলানো সম্ভব নয়।”
এ দিকে পুণেতে কোভারম্যান্সের শিবিরে যোগ দিয়েছেন শিবিরে ডাক পাওয়া ৩০ ফুটবলারের বেশির ভাগই। পর্তুগাল থেকে কোচিতে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন সুনীল ছেত্রী। তিনি আর ফিরে যাননি। তাকেই অধিনায়ক করে মায়ানমারে এ এফ সি চ্যালেঞ্জার্সে নামবে ভারত। কোভারম্যান্সের দলের প্রথম ম্যাচ ২ মার্চ চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে। পরের ম্যাচ ৪ মার্চ ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জের দল গুয়ামের বিরুদ্ধে। সুনীল-নবি-মেহতাবদের শেষ ম্যাচ ৬ মার্চ উদ্যোক্তা মায়ানমারের সঙ্গে। |