স্কুলের গায়েই মাঠ। সেখানেই তৃণমূলের সভা। প্রধান বক্তা দলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চে এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী। সকাল থেকেই তারস্বরে বাজতে শুরু করেছিল গাদা গাদা মাইক। বক্তৃতা শুরু হয় বেলা আড়াইটে নাগাদ। সকালের দিকে ঘণ্টা কয়েক কোনও মতে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষকেরা। কিন্তু আওয়াজে কান পাতা দায়। শেষমেশ দুপুর ২টোয় টিফিনের পরে ছুটি ঘোষণা করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার ঘটনাস্থল, হাওড়ার বাউড়িয়ার কারবালা মাঠ। তার গায়েই খাঁজুড়ি হাইস্কুল। স্কুল চলাকালীন এ ভাবে মাইক বাজিয়ে সভা কেন করা হল, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতিতে। |
অস্বস্তিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ মহলও। যদিও একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়েই খালাস তারা। আর গোটা বিষয়টি জানেন না বলেই পাশ কাটিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়।
অবশ্য ‘খোঁজ নিয়ে দেখার’ আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অরূপবাবু নিজেও এ দিন ছিলেন সভায়। ছিলেন সাংসদ সুলতান আহমেদ, মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি-সহ অনেকেই। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা সিপিএম নেতা মান্নান মল্লিক বলেন, “পাশে স্কুল থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন কী করে সভার অনুমতি দিল বুঝতে পারছি না।” উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক সুজয় আচার্যের সাফাই, “পুলিশের তরফে আপত্তি না থাকায় তার পরেই প্রশাসন ওই মাঠে সভার অনুমতি দিয়েছে।” |
পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের অবশ্য দাবি, মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় মহকুমা প্রশাসন থেকেই। এই ডামাডোলের মাঝে পড়ে দিনভর প্রায় আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা শিকেয়। উলুবেড়িয়া পূর্ব তৃণমূলের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা স্কুলকে ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও অনুরোধ করিনি। স্কুল কেন ছুটি দিয়েছে সেটা তারাই বলতে পারবে।” এ দিনের সভায় সিপিএমের সমালোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার পক্ষেও সওয়াল করেন শুভেন্দু।
|
সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |