|
|
|
|
উপত্যকায় বিক্ষোভ চলছেই, মৃত বেড়ে ৩ |
সাবির ইবন ইউসুফ • শ্রীনগর |
মাস চারেক আগেও পর্যটকের ভিড়ে মেতে উঠেছিল কাশ্মীর। মাত্র কয়েক দিনে বেমালুম বদলে গেল চিত্রটা। আজ তিন দিন হল কাশ্মীরের আনাচ-কানাচে পর্যটকের বদলে ভিড় উর্দিধারীদের। শনিবার থেকে চলছে কার্ফু। একই সঙ্গে চলছে সেই কার্ফু উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পালাও। আজ মাইসুমা থেকে লাল চক, বাতামালু, কুপওয়ারা, লালবাজার-সহ রাজ্যের নানা জায়গাতে একটাই দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন কাশ্মীরবাসী। আফজল গুরুর দেহ তুলে দেওয়া হোক পরিবারের হাতে। তবে এই দাবি মেনে নেওয়া কোনও মতে সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিতকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট বলেন, “না, দেহ দেওয়া সম্ভব নয়।” দেহ পরিবারকে দেওয়ার প্রসঙ্গে কিছু না বললেও আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে বলেন, আফজলের পরিবার যদি তাঁর কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর অনুমতি চান, তা হলে সেই আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। |
|
কার্ফুর জের। শ্রীনগরে। ছবি: রয়টার্স |
এই ৩ দিনে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩। রবিবার পুলিশের গুলিতে আহত উবাইদ আহমেদ মারা যান সোমবার। আজ উবাইদের দেহ নিয়েও বারামুল্লার ওয়াতেরগাম এলাকায় বিক্ষোভ হয়। অন্য এক যুবক মারা গিয়েছেন গান্ডেরবাল এলাকায়। ৪ জন এখনও আশঙ্কাজনক। রবিবার পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে এক যুবক মারা যান বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শনিবার সকালে ফাঁসি হয় আফজল গুরুর। সে দিন ভোর থেকেই কার্যত বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন গোটা কাশ্মীর। মিলছে না সংবাদপত্র। দূরদর্শন ছাড়া অন্যান্য খবরের চ্যানেল উধাও টিভির পর্দা থেকে। উপত্যকার অধিকাংশ জায়গাতেই ইন্টারনেট এমনকী মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। শুক্রবার পর্যন্ত হয়তো এমনই থাকবে পরিস্থিতি। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে সরকারি সূত্রে। কাশ্মীরের ডিজিপি অশোক প্রসাদের দাবি, অধিকাংশ জেলাতেই পরিস্থিতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান বলছে অন্য কথা। |
|
|
|
|
|