|
|
|
|
ত্রিপুরায় প্রচারে |
চিনকে টেনে সিপিএমকে আক্রমণ রাহুলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
চিনের কমিউনিস্টদের উদাহরণ টেনে দেশজ বামেদের বিঁধলেন রাহুল গাঁধী।
ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। সোনামুড়ায় এক জনসভায় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর নির্বাচনী আক্রমণের লক্ষ্য ছিল দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্যের বাম সরকার তথা ফ্রন্টের প্রধান শরিক সিপিএম। সম্প্রতি চিন ঘুরে এসেছেন রাহুল। তাঁর বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে রাহুল বলেন, “চিনে কমিউনিস্টদের শাসন থাকা সত্ত্বেও, আর্থিক উন্নতি হচ্ছে দ্রুত। হিন্দুস্থানের কমিউনিস্টরা এখনও বদলাচ্ছে না কেন, এ কথা জানতে চেয়েছেন চিনের মানুষ।” তাঁর কথায়, ‘‘বাজার-ই বাস্তব— মার্কেট ইজ দ্য রিয়্যালিটি। কিন্তু এ দেশের কমিউননিস্টরা সেই বাজারের গুরুত্বই বুঝতে চাইছেন না।” রাহুল বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, অসম, কর্ণাটক— সর্বত্র মানুষ ‘আত্মশক্তি’-তে ভরপুর। এই রাজ্যগুলিতে ‘উন্নয়নের রথ’ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। আর ত্রিপুরায় কী হচ্ছে? বেকারি বাড়ছে দ্রুত হারে। সিপিএম সময়ের সঙ্গে পিছিয়ে থেকে রাজ্যের মানুষকেও পিছনে টানছেন।” |
|
আগরতলায় রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই |
কংগ্রেস সহ-সভাপতির দাবি, ‘‘ত্রিপুরার মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। গণতন্ত্রের বধ্যভূমি থেকে এ বারে রাজ্যের মানুষ মুক্তি চাইছেন। বিকাশ আটকে রয়েছে। কেরল, বাংলা থেকে মানুষ বাম সরকারকে সরিয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকেও সরিয়ে দিতে হবে।’’ তাঁর দাবি, কেন্দ্র অনুদান দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আসছে, অথচ রাজ্যবাসীর তা কাজে লাগছে না। সরকারের পিছনে কমিউনিস্টদের যে সংগঠন রয়েছে, সেগুলি উপকৃত হচ্ছে। রাজ্যের বিকাশ থমকে গিয়েছে। তাঁর কথায়, কমিউনিস্টদের কাছে জনতা আগে নয়, ‘সংগঠন’ আগে। আর কংগ্রেসের কাছে ঠিক উল্টো, ‘আমআদমি’ আগে, পরে সংগঠন। রাহুলের বিশ্বাস, ত্রিপুরায় এ বার ‘পরিবর্তন’ হচ্ছেই।
তবে রাহুল গাঁধীর এই তীব্র আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়েও রাজ্যের বাম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তাঁকে আমলই দিতে চাইছেন না। আজ এক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল রাজ্যের অতিথি। ভাল ভাবে দলীয় কাজ করে ফিরে যান।’’ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট। কেমন বুঝছেন? মানিকবাবুর বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনী প্রচারের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে, আরও বেশি সমর্থন, আরও বেশি আসন নিয়েই সপ্তম বামফ্রন্ট গঠিত হচ্ছে।’’ |
|
|
|
|
|