সততা-বিতর্কে পাল্টা আক্রমণের পথই বজায় রাখল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এ বার বুদ্ধবাবুর কন্যার সঙ্গে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যোগাযোগের প্রসঙ্গ টেনে এনে সুর চড়ালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিপিএমকেই সব চেয়ে বড় ‘তোলাবাজের দল’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
শহিদ মিনার ময়দানের সমাবেশ থেকে রবিবার বুদ্ধবাবু অভিযোগ করেন, উৎসবের নামে রাজ্যে তোলাবাজি চলছে। সোমবার পার্থবাবুর পাল্টা বক্তব্য, “বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর কন্যার নামে পরিবেশ সংক্রান্ত যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি হয়, তার ফুলে ফেঁপে ওঠার কাহিনি জানতে চাই! সেটির পিছনে কাদের হাত রয়েছে, বুদ্ধবাবু তা প্রকাশ করুন।”
সততার পরীক্ষায় মমতা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম স্থান পাবেন বলে প্রত্যয়ী তৃণমূল। সে কথার পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি দলের অন্য নেতা-মন্ত্রীরাও সৎ বলে দাবি করেছেন পার্থবাবু। তোলাবাজি নিয়ে বুদ্ধবাবুর অভিযোগের জবাবে এ দিন পার্থবাবুর পাল্টা বক্তব্য, “সিপিএমের থেকে বড় তোলাবাজ কেউ নয়! আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নথি-সহ থানায় ডায়েরি করুন বুদ্ধবাবু!”
এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পার্থবাবুদের রুচি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমেরা। মহম্মদ সেলিমের কথায়, “এর আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তাঁকে ভর্ৎসনা করার পরিবর্তে পার্থবাবু এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিলেন! যাঁরা বলছেন, তাঁদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক নীচতাই এতে প্রমাণিত হয়!” সেলিমের আরও বক্তব্য, “বুদ্ধদা’কে কখনও বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে হয়নি যে, তিনি সৎ! ওঁর কন্যা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালনার কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। কথায় কথায় যাঁরা সিবিআই তদন্ত চাইতেন, তাঁরাই তদন্ত করে দেখুন!”
বুদ্ধবাবুর তোলা প্রশ্নের সমর্থনে এ দিন সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সিও। নেতাজি ইন্ডোরে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সংগঠনের এক সম্মেলনে দীপা এ দিন বলেন, “হোর্ডিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির নীচে লেখা দেখি, সততার প্রতীক। তিনি সৎ না অসৎ সে প্রশ্নে যাচ্ছি না। বাংলা কেমন আছে, রাজ্যের উন্নয়ন কতটা হচ্ছে, তা জানতে চাই।” |