রাস্তা সংস্কারের দাবি, অবরোধ পাঁচ জায়গায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে রামপুরহাট-শেরপুর রাস্তার ৫ জায়গায় অবরোধ হয়েছে সোমবার। সকাল ন’টা রামপুরহাটের দখলবাটি মোড়, মাড়গ্রামের ছোটডাঙাল মোড়, ধূলফেলা মোড়, বিষ্ণুপুর ও ধল্লা মোড়এই ৫টি জায়গায় প্রথমে অবরোধ শুরু হয়।
পরে ধূলফেলা মোড় ও দখলবাটি মোড়ে অবরোধকারীরা ছোটডাঙাল মোড়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে মিশে যান। অবরোধকারী মহম্মদ মাসিদুল হক, নুর আহমেদ, সুজাউদ্দিন, অপূর্ব চৌধুরীদের অভিযোগ, “রামপুরহাট-শেরপুর রাস্তাটি দেড় বছর আগে নতুন করে তৈরি হয়েছে। কিন্তু চার মাসের মধ্যে সেই রাস্তার জায়গায় জায়গায় গর্ত হতে শুরু করে। বর্তমানে রাস্তাটির সর্বত্র খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। ওই গর্ত মেরামতি করার জন্য মোরাম ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু যে পরিমাণ পিচ দেওয়া দরকার, তা দেওয়া হয়নি। এর ফলে কয়েক মাসের মধ্যে পাথর উঠতে শুরু করেছে।” |
প্রতিবাদে একজোট। সোমবার মাড়গ্রামে ছবিটি তুলেছেন সব্যসাচী ইসলাম। |
মাড়গ্রামের বাসিন্দা তথা জেলা বাসমালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার সভাপতি মামুন আল রশিদের দাবি, “রাস্তা সংস্কারের সময়ে পিচের পরিমাণ কম দিয়ে গুঁড়ো পাথরের উপরে পিচ স্প্রে করা হয়েছিল। এলাকার বাসিন্দারা তার প্রতিবাদও করেছিলেন। তবুও রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থা কর্ণপাত তাতে করেনি। রাস্তা বেহালের কারণে বড় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে তো অসুবিধা হচ্ছেই, সাইকেলে করে যেতেও সমস্যা হয়।”
এ দিন অবরোধের জেরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস ও অন্যান্য যানবাহন বন্ধ ছিল। মাড়গ্রাম নাগরিক কমিটির ব্যানারে ছোটডাঙাল মোড়ে অবরোধ চলাকালীন রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছন। অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করলে বচসা বেধে যায়। তিনি ঘণ্টা দেড়েক সেখানে আটকে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ত দফতরের (সড়ক) রামপুরহাট মহকুমার সহকারী বাস্তুকার সুজয় রায় প্রতিহার। সুজয়বাবু বলেন, “২০১১ সালের মে মাসে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখনও রাস্তাটি দেখভালের দায়িত্বে রাস্তা নির্মাণকারী ওই সংস্থা।” তিনি জানান, ওই সংস্থাকে রাস্তা সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাস্তাটি পিচ দিয়ে মেরামতির আশ্বাস দিয়েছে ওই সংস্থা। এক বছর পরে ওই সংস্থার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেলে পূর্ত দফতর (সড়ক) রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাবে মেরামতির কাজ করতে পারবে।
এলাকাবাসীর দাবি মেনে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত দু’বেলা জল ছেটানোর বিষয়ে বিডিও এবং সহকারী বাস্তুকার উভয়েই জানান, এ ব্যাপারে ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে কী করা যায় তার চেষ্টা চালানো হবে।
তাঁদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরে অবরোধ উঠলেও এ দিন এলাকার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা সময় মতো পৌঁছতে পারেননি। অফিস কর্মীরাও দেরিতে পৌঁছন। আবার কেউ কেউ বাড়ি ফিরেও যান। |