রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গোঁজ প্রার্থীরা একটা বড় ‘ফ্যাক্টর’ হতে চলেছে। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হুমায়ুন কবির আরএসপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলামকে ৮৭৪১ ভোটে পরাজিত করেন। এ বার অবশ্য কংগ্রেস, আরএসপি ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই। এতে ভোট কাটাকাটি ও সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্দ্ধারিত হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। ফলে ত্রিপক্ষই ‘গোঁজ’ প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। যা, স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, নাক কেটে অন্যের যাত্রাবঙ্গের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
একই নামের প্রার্থীদের লড়াইয়ে নামিয়েছেন অনেকে। যাতে প্রতি পক্ষের সামান্য ভোটও কাটা যায়। বহরমপুরের মহকুমা শাসক অধীর বিশ্বাস বলেন, “রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।” বামফ্রন্টের প্রার্থী আরএসপি-র সিরাজুল ইসলাম বলেন, “গোঁজ প্রার্থীর রমরমা রেজিনগর কেন্দ্রে। আমার নামের দুই ব্যক্তিকে কংগ্রেস ও তৃণমূল দু’পক্ষই দাঁড় করিয়েছে, যাতে আমার ভোট তারাই কাটে। এগুলো সুস্থ প্রতিযোগিতার লক্ষণ নয়। তবে আমাদের ভোট হবে মূলত প্রতীকে। ফলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।”
জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “বিরোধীরা রবিউল আলম চৌধুরী নামেই প্রার্থী দিতে গিয়েছিল কিন্তু খুঁজে না পেয়ে এক জনকে দাঁড় করিয়েছে যার নাম কাজি রবিউল। তবে এতে ভোট কাটার তেমন ঘটনা ঘটবে না। আমাদের ভোটাররা সচেতন ভাবে কাজ করবে।” তৃণমূলের পক্ষে প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, “অধীর চৌধুরীর লোকেরা ষড়যন্ত্র করে পুলিন্দা এলাকার এক ব্যক্তি যার নাম হুমায়ুন কবির, তাকে নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তাদের ধারণা এভাবে আমার ভোট কাটবে।”
মূলত প্রার্থীর নাম ও প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের মধ্যে প্রচার চালানো হয়। তা সত্ত্বেও অনেকেই প্রার্থীর নাম দেখে ভোট দেয়। সেক্ষেত্রে যদি ভোটাররা একই নামের দুই ব্যক্তিকে দেখে ভোট দেয়। ফলে প্রার্থীর চেয়েও প্রতীকের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে। |